কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় লটারি করে চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রত্যাখান করেছেন।
আজ (১০ মার্চ) রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার রিফাইতপুর বাজারে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে লটারির মাধ্যমে ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখান করে আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঘোষণা দেন সমসংখ্যক ভোট পাওয়া ও লটারিতে পারজিত হওয়া প্রার্থী মো. ফারুক আলম পান্না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, শনিবার (৯ মার্চ) রিফাইতপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আমি মো. ফারুক আলম পান্না মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬১২৩ ভোট প্রাপ্ত হই। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাথী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস রানা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনিও ভোট পান ৬১২৩ ভোট।
ফলে দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় তাদের মধ্যে পুনরায় ভোট গ্রহণের ঘোষণা দেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন কুমার মন্ডল।পরে শনিবার দিবাগত রাত ১.৪৫ টায় দুই প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে এবং তাদের অমতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গোপনে লটারি করে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মান্নান বিশ্বাস রানাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
যা সম্পূর্ণ আইন বহির্তূত, মনগড়া, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণার সামিল। লটারির মাধ্যমে ঘোষিত ফলাফল না মেনে তিনি এই ফলাফল ছেড়চিত্র প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে মো. ফারুক আলম পান্না’র ভোটার ও কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ ও ভোট গননা শেষে দুই প্রার্থী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় নির্বাচন বিধি অনুযায়ী লটারির মাধ্যমে প্রার্থী বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন কুমার মন্ডল। লটারীতে মো. আব্দুল মান্নান বিশ্বাস রানা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
এসময় জেলা নির্বাচন অফিসার আবু আনছার, দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন কুমার মন্ডল সহ আইন শৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লটারী পরিচলনা করেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার অঞ্জন কুমার মন্ডল।
প্রিন্ট