ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে পিতা পুত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালো প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় রোববার রুমান বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটা অভিযোগ করেছেন। আহত পিতা ডাঙ্গারপাড় গ্রামের মৃত কলম খাঁর পুত্র শফি খাঁ (৮০) এবং তার পুত্র রোমান খাঁ (২৫)। এ ঘটনা রোমান খাঁ বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানা একটা অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ডাঙ্গারপাড় গ্রামের শফি খাঁর সাথে পাশের বাড়ির আসমত শেখ ও আতাহার শেখের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার আমিন দিয়ে জায়গা মাপামাপি করা হয়েছে এবং কয়েকবার শালিস বৈঠক হয়েছে । গতকাল শফি খাঁ রাজমিস্ত্রি নিয়ে তার বিল্ডিং এর পাশে নিজের জায়গার উপর একটি টয়লেট নির্মাণ করছিল। গতকাল সন্ধ্যার সময় আসমত শেখ ও তার স্ত্রী এবং আতাহার শেখ সহ কয়েকজন লোক এসে শফি খাঁ ও তার পুত্র রোমান খাঁকে মারধর করলে গুরুতর আহত হয়। গুরুত্বর আহত শফি খাঁকে স্বজনেরা ভাঙ্গা হসপিটাল ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে রোমান খাঁ জানায়, আমার বাড়ির পাশে একটা টয়লেট নির্মাণ করতেছি। হঠাৎ আসমত শেখ ও আতাহার শেখ সহ কয়েকজন মহিলা এসে আমাকে ও আমার পিতাকে হাতুড়ি দিয়ে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করে এবং একটি পিলারের খাচা ধরে ফেলে দেয় এবং অনেক মালামালের ক্ষতি করে।
বর্তমানে আমার পিতা ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমার পিতার অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আসমত শেখ জানায়, বাড়ির সীমানা নির্ধারন না করে শফি খাঁ পাকা পিলার তৈরি করছিল এই নিয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তাকে কেউ মারধর করে নাই।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হসপিটাল কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়, শফি খাঁ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা জখম চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক বৃদ্ধকে মারধর করেছে। রাতেই আমি হসপিটালে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্ত পুর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রিন্ট