ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা Logo রংপুরে সিও বাজারে এলপিজি গ্যাস পাম্পে ভয়াবহ বিস্ফোরণঃ নিহত ১, বহু আহত Logo ফরিদপুরে ড্যাব এর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo গোমস্তাপুরে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo শহীদ সাগরের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী আজঃ শোক আর শূণ্যতায় কাতর বাবা-মা Logo ভাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় উপজেলা জামায়াত আমিরসহ নিহত ৩ Logo তানোরে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায় হাটুরে সেলুন Logo গোপালগঞ্জে নিহতের সংখ্যা পাঁচঃ তিন মামলায় আসামি আড়াই হাজার Logo জুলাই-আগস্টে শহীদদের স্মরণে মহম্মদপুরে বিএনপির মৌন মিছিল Logo যশোরে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের ১৬৫তম সাহিত্য সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় বন্ধুকে খুন, ৯ টুকরা করে পুতে রাখা হয় পদ্মার চরে

নিখোঁজের ২ দিন পর কুষ্টিয়ার হরিপুর পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোাসেন (২৭) নামের এক তরুণের ৯ খণ্ডে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ৬টি জায়গায় পুতে রাখা মিলনের দেহের ৯টি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মিলনের ৫ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের নিয়ে রাতভর পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালায় পুলিশ।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরচর এলাকার মওলা বক্সের ছেলে মিলন হোসেন। কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন। বিষয়টি জানার পর মিলনের বন্ধু ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতা এসকে সজিব ও তার কয়েকজন সহযোগী গত বুধবার সকালে তাকে হাউজিং এর একটি ৬তলা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মিলনের কাছে মোটা অংকের টাকার দাবি করেন। মিলন টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিলনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে । পরে লাশ গুম করার জন্য হেচকা ব্লেড দিয়ে মিলনের মরদেহের ৯ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুতে রাখে।

 

পুলিশ সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে আটককৃতরা। স্বীকারোক্তীর পর রাত ১২টা থেকে আটককৃতদের সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতভর খুঁজে না পেলেও সকাল ৮টার দিকে আটককৃতদের দেখানো স্থান থেকে ৬ জায়গা থেকে মিলনের দেহের পৃথক ৯টি দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়। এই ধরনের ভয়াভহ ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘাতকদের ফাঁসির দাবি করেন মিলনের স্বজন এবং স্থানীয়রা।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী ওরা ১১জন মাগুরা

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় বন্ধুকে খুন, ৯ টুকরা করে পুতে রাখা হয় পদ্মার চরে

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া :

নিখোঁজের ২ দিন পর কুষ্টিয়ার হরিপুর পদ্মা নদীর চর থেকে মিলন হোাসেন (২৭) নামের এক তরুণের ৯ খণ্ডে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ৬টি জায়গায় পুতে রাখা মিলনের দেহের ৯টি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রীর সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে মিলনের ৫ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের নিয়ে রাতভর পদ্মা নদীর চরে অভিযান চালায় পুলিশ।

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরচর এলাকার মওলা বক্সের ছেলে মিলন হোসেন। কুষ্টিয়ার হাউজিং এলাকার একটি বাড়িতে থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতেন। বিষয়টি জানার পর মিলনের বন্ধু ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতা এসকে সজিব ও তার কয়েকজন সহযোগী গত বুধবার সকালে তাকে হাউজিং এর একটি ৬তলা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে মিলনের কাছে মোটা অংকের টাকার দাবি করেন। মিলন টাকা দিতে অস্বীকার করলে মিলনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে । পরে লাশ গুম করার জন্য হেচকা ব্লেড দিয়ে মিলনের মরদেহের ৯ টুকরা করে পদ্মা নদীর চরে পুতে রাখে।

 

পুলিশ সজিবসহ ৫ জনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে আটককৃতরা। স্বীকারোক্তীর পর রাত ১২টা থেকে আটককৃতদের সাথে নিয়ে পদ্মা নদীর চরে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতভর খুঁজে না পেলেও সকাল ৮টার দিকে আটককৃতদের দেখানো স্থান থেকে ৬ জায়গা থেকে মিলনের দেহের পৃথক ৯টি দেহের অংশ উদ্ধার করা হয়। এই ধরনের ভয়াভহ ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। ঘাতকদের ফাঁসির দাবি করেন মিলনের স্বজন এবং স্থানীয়রা।


প্রিন্ট