নানা জল্পনা -কল্পনা ও নাটকীয়তার পরে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমনের বেলাবরের ৮ বছরের মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান সহ চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি। প্রতিবেদনে শুধু বাংলাদেশ বুলেটিনের বেলাবো প্রতিনিধি ফয়সাল আহাম্মেদ আব্দুল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকি ৪ আসামীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এই প্রতিবেদনে। তাছাড়া মামলার সাক্ষী সাংবাদিক কাজী শরিফুল ইসলাম শাকিল, আলম মৃধা, আলতাফ হোসেনের যে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলি ডিবির সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং মনগড়া কথাবার্তা বলে দাবী করেছেন মামলার সাক্ষীগণ। ডিবির সাথে তাদের এই ধরনের কোন কথাবার্তাই হয়নি বলেও জানান তারা।
প্রতিবেদনে আট বছরের মুক্তিযোদ্ধার তিনটি জন্ম তারিখ পাওয়া যায়। এস এস সি সার্টিফিকেটে একধরনের জন্ম তারিখ, অষ্টম শ্রেণীর পাশের প্রত্যয়ন পত্রে এক ধরনের, আবার ভোটার আইডি কার্ডে এক ধরনের।জনমণে প্রশ্ন তিনি তিনবার জন্মগ্রহণ করেছেন কি? তবে এগুলির মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সূত্র হলো এস এস সি পাশের সার্টিফিকেট। এই সূত্র মতে তার বয়স মুক্তিযুদ্ধের সময় আট বছর এগারো মাস। যা কখনো পরিবর্তন করা যায় না। বাকিগুলি অবৈধ পন্থায় মন মত করা হয়েছে। যার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই।
উল্লেখ্য দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন” বেলাবতে সন্ধান মিলেছে আট বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধার” শিরোনামের দুটি সংবাদ প্রকাশ করে। এই সংবাদটি আরো তিনটি জাতীয় দৈনিক দেশের পত্র, বজ্র শক্তি, সময়ের প্রত্যাশা ও সাপ্তাহিক আজকের চেতনা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে বাংলাদেশ বুলেটিনের বেলাবো প্রতিনিধি ফয়সাল আহাম্মেদ আব্দুল্লাহ“ চাঁদা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শিরোনামে“ মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। একই সূত্র ধরে “ভোরের পাতায়” চাঁদা না দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ” শিরোনামে মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে। এ ধরনের হলুদ ও অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে উক্ত দুটি সংবাদকে চ্যালেঞ্জ করে মোঃ শফিকুল ইসলাম সুমন নরসিংদী অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মানহানি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- নরসিংদী সি আর ১০৪১/২৩ ।
উক্ত মামলায় প্রায় চার মাস পর নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি তদন্ত প্রতিবেদন ৩০ জানুয়ারি আদালতে জমা দেয়। যা অসম্পূর্ণ, মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের উপর নির্ভরশীল।ডিবির প্রতিবেদনে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সুমন ও ফয়সালা আহমেদ আবদুল্লার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মাে:শফিকুল ইসলাম সুমন ওই সাংবাদিককে জীবনে কোনদিনই দেখেনি বা তার সাথে কোন কথাই হয়নি। দ্বন্দ্ব হওয়া তো প্রশ্নই উঠে না। যেই পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকরা মিথ্যা, মনগড়া, বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের কিভাবে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়! এই দায় অবশ্যই তাদের নিতে হবে। ওই ধরনের পত্রিকার অনুমোদন বাতিল করা উচিত বলে মনে করেন তারা। ৮ বছরের মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমানকে বাঁচাতে ডিবির এই লীলা খেলা বলেও মন্তব্য করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের প্রতিবেদন দেওয়ায় আস্থার জায়গা নষ্ট করেছেন নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা শাখা।
এ বিষয়ে মো: শফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ডিবি দুই পক্ষকে আপষ করতে চেয়েছিলো, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে অসম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, আমি মামলায় নারাজি দিব।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাদেকের সাথে ফোনে কথা হলে, তিনি জানান, আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেভাবে বলেছে, আমি সেভাবেই প্রতিবেদন দিয়েছি। আপনার আপত্তি থাকলে আপনি নারাজি দেন।
প্রিন্ট