স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে আড়াই বছর আগে শ্বশুরালয়ে খুন হয় ২২ বছর বয়সী যুবক সুমন। এঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা করে সুমনের স্ত্রী শিউলী খাতুন ও ঘটনার মুল নায়ক হকাই । কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে মামলাটির তদন্তভার নিয়েছে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) । এতে আশার আলো দেখছে মামলার বাদী শহিদ মন্ডল ।
২০২১ সালের ১৫ আগষ্ট রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার দামুকদিয়া গ্রামের সুমন খুন হয় পার্শবর্তী গোপালপুর গ্রামে। ঘটনার পরই এলাকাবাসী নিহত সুমনের শরীরে আঘাতের চিহ্ণ দেখতে পায়। সুমনের পরিবারের পক্ষ থেকেও দাবী তোলে তাদের জামাই হকাই ও সুমনের স্ত্রী শিউলী খাতুনের পরকীয়ার কারনে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সুমনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে তাদের পরকীয়ার ভিডিও ও কথোপকথোনের রেকর্ড আছে বলেও দাবী তোলেন সুমনের পরিবার। সুমনের বাবা শহিদ এসব দাবী নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়না। ফলে তিনি আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেন।সেই মামলাটিরও তদন্ত পায় কালুখালী থানা পুলিশ।
সুমনের বাবা শহিদ মন্ডলের দাবী থানা পুলিশের তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ সুমনের ভিডিও ধারনকৃত মোবাইল ফোন ও ঘটনাস্থলের গুরুত্বপূর্ন আলামত সংগ্রহে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় তিনি মামলাটির তদন্তের জন্য জেলা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) বরাবর আবেদন করে।
সিআইডি’র তদন্তের শুরুতেই প্রাথমিক সত্যতা প্রামানিত হওয়ায় আসামী হকাই ও শিউলী গ্রেফতার হয়। আশার আলো দেখতে থাকে নিহত সুমনের পিতা শহিদ মন্ডল।
তারপরও বিপাকে আছেন এই পুত্রহারা পিতা। গত শনিবার তিনি কালুখালী প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, হকাই ও শিউলী গ্রেফতারের পর ছদ্মবেশী একদল দূর্বত্ত আমাকে হত্যার হুমকী দিচ্ছে। তারা প্রায়ই দামুকদিয়া গ্রামের মিনু বেগমের বাড়ীতে অবস্থান নেয়। তিনি বলেন, জীবনের নিরাপত্তার জন্য গত ২৭ জানুয়ারী কালুখালী থানায় লিখিত আবেদন করেছি। তারপরও অজানা আতংকে দিন কাটছে।
প্রিন্ট