জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন হতেই রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় সহিংসতা চালিয়ে যাচ্ছে একদল দূর্বত্ত। ফলে আতংকের মধ্যে দিন কাটছে প্রত্যন্ত এলাকার নিরিহ মানুষের।
নির্বাচনের পরদিন ৮ জানুয়ারী রাতে কালুখালীর মাজবাড়ী ইউনিয়নের কয়ারদী গ্রামে নির্বাচন কেন্দ্রীয় হামলা হয় সাবেক আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে। মুখে কাপড় বেঁধে একদল দুর্বৃত্ত রাতের আঁধারে এই হামলা চালায়। হামলাকারীরা রামদা, দিয়ে আনোয়ারা বেগমের ঘরের বেড়া কেটে ফেলে। বের হতে বলে আনোয়ারা বেগমকে। কিন্তু তিনি জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে ঘর থেকে বের হন না। পরে তাকে ৫০ হাজার টাকা রেডি রাখতে বলে চলে যায়। এ ঘটনার সময় প্রতিবেশীরাও বের হতে সাহস পায় না।
আনোয়ারা বেগম জানায়, নৌকায় ভোট দিয়েছি, সবাই বিষয়টি জানে। তারপরও হাইব্রিড আওয়ামী লীগের লোকেরা আমার উপর এই আক্রমণ করেছে। এ ঘটনার পর থেকে বৃদ্ধ স্বামী, ১ পুত্রবধূ, ২ নাতনী নিয়ে আতংকে রাত কাটে আনোয়ারা বেগমের। তিনি জানান,আতংক আর কান্নার মধ্যদিয়ে রাত কাটে। দিনেও থাকি নানা সংশয়ে।
আনোয়ারা বেগমের ২ নাতনী। ঔশি ও আশা। এরা হাড়িভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এদেরকে স্কুলে পাঠিয়েও আতংকে থাকেন আনোয়ারা। কখন কি হয়ে যায়।
থানা পুলিশের কাছে যেতেও ভয় পায় মাজবাড়ীর সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ারা বেগম। পুলিশের কাছে গেলে তাক স্ব পরিবারে হত্যা করা হবে এই ভয় দেখিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হতাশাগ্রস্ত পরিবারটি নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রিন্ট