কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গত তিন দিন ধরে শীত জেঁকে বসেছে। মাঝরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে চারদিক। সকালে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। শীতের কারণে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে। ঠান্ডার কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
মঙ্গলবার (১২ ডিসম্বর) ভেড়ামারা উপজলার চাদগ্রাম ইউনিয়নের ১২ এলাকার কৃষক সমশের আলী ফুলকপি তুলছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করি ঠান্ডা নেমে গেল। কামলারা আসে নাই। নিজেই কাম করবার লেগেছি। কাজ-কাম করতে আঙুল অসাড় হয়া যায়।
জুনিয়াদহ ইউনিয়নের কৃষক শরিফ তার বোরো বীজতলা নিয়ে চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বীজতলা ভালাই আছে। যে হারে কুয়াশা আর বাতাস বইছ তাতে বীজতলার ক্ষতিও হতে পারে।
ভেড়ামারা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সােনিয়া ঘােষ জানান, দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল মোট ১৪ জন রাগী ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রাগীও রয়েছে। এছাড়াও ডায়রিয়া আইসোলেশনে ৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।
প্রিন্ট