ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২ Logo বোয়ালমারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ১৬ দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ Logo পাংশায় কুয়েতির অর্থায়নে এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo তিন গুণ হলো রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম Logo লালপুরে বিদ্যালয়ের গ্রিল ভেঙে চুরি Logo রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি নাজমা গ্রেফতার Logo সংগীতশিল্পী আব্দুল জলিল আর নেই Logo কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র কমিটি বাতিলের দাবিতে অনশনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি Logo নলছিটিতে ডাক্তারের সীল জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক একজন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগর তথা (মেট্রোপলিটন) এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।ইতিমধ্যে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অনেক সফলতা অর্জন করেছে, পাশাপাশি নগরবাসির আস্থা অর্জনেও সক্ষম হয়েছেন।

জানা গেছে, দেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর অনেকটা মনোবল হারিয়ে ফেলে পুলিশ।জনবান্ধব পুলিশ গড়তে ও পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে পূর্বের ন্যায় আবারও কাজে উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকায় মাঠে কাজ করছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশের নেতৃত্ব স্বর ভেঙে পড়ে, জনআস্থা থেকে পুলিশ অনেকটা ছিটকে পড়েছিল। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জনগণের কাছে পুলিশকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা সেই ধরাবাহিকতায় কাজ শুরু করছেন বাংলাদেশ পুলিশ।

 

এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন (আরএমপি)পুলিশের ৩২ তম পুলিশ কমিশনার হিসাবে যোগদান করেন মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।তিনি যোগদানের পর থেকে সফলভাবে চুরি, ছিনতাই, মাদক, অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সাইবার ইউনিটের সহায়তায় হারানো মোবাইল উদ্ধার, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও অপরাধী গ্রেফতার, অসামাজিক কাজে লিপ্ত আবাসিক হোটেলে অভিযান, দুয়াড়ি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বাক্তিদের আটক, অস্ত্র উদ্ধার, দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিধ্বস্ত থানা মেরামত, চাঁদাবাজ আটক, বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী উদ্ধার, ব্যাপক মাদক উদ্ধার, হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার, জাল টাকা উদ্ধার, সাজাপ্রাপ্ত আনামী আটক, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিস্ফোরক মামলার আসামী গ্রেফতার, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া ছাত্রদের আটক পুর্বক অভিভাবকের জিম্মায় প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীকে আটক, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ, ছিনতাইকারী আটকসহ বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও সামাজিক কাজ করছেন আরএমপি পুলিশ।কমিশনারের প্রচেষ্টায় বিধ্বস্ত সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটও অপরাধ দমনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ।

 

অপরদিকে সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটটি (আরএমপি) রাজশাহীর গোয়েন্দা শাখাসহ সকল থানা থেকে প্রাপ্ত মামলা, অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি (জিডি), মারোনো মোবাইল উদ্ধার, সোশ্যাল মিডিয়া ফেক আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার, পর্নেগ্রাফি এবং মোবাইল ব্যাংকিংর মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করছে। জননিরাপত্তায় আরএমপি পুলিশের ভূমিকা ও কার্যক্রম নিয়ে কথা বললে এডিসি (মিডিয়া) সাকিনা ইয়াসমিন বলেন, ডিআইজি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। পুলিশ কমিশনার আরএমপিতে যোগদানের পর শহরে শারদীয় দুর্গোৎসব, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন) এবং ইংরেজি নববর্ষের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে তিনি যোগদানের পর পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও পুলিশী কার্যক্রম গতিশীলতা আনায়নে আরএমপি’র সকল ইউনিট পরির্দশন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও রাজশাহী মহানগর এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য তিনি সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

এছাড়াও পুলিশি সেবা নগরবাসীর দেরগোড়ায় পৌছে দিতে এবং যেকোনো তথ্য ও সেবা পেতে আরএমপিতে তিনি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করেন রাজশাহী মহানগরীতে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ ও যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক ও মালিকদের নিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহীর সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম ও সাহেব বাজার কেন্দ্রিক মার্কেটসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে আড্ডা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আটকের পর সচেতন করা এবং এর কুফল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে ছেড়ে দেন।কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সমাজ থেকে অপরাধ ভীতি দূরীকরণপূর্বক জনমনে স্বত্তি ও আস্থা অর্জন করতে বিট পুলিশিং কর্মসূচী জোরদার করেন।

 

এছাড়াও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অসামাজিক কার্যক্রম রোধকল্পে সাংবাদিকসহ নগরীর সচেতন ব্যাক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদকবিরোধী সাইকেল স্ট্যান্ডশোর অয়োজন করেন।

 

তিনি ৫ আগস্ট রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিট সমূহের সংস্কার পরর্বতী অপারেশন কার্যক্রমের জন্য আরএমপি ডিবি অফিস, ট্রফিক অফিস চালু করেন এবং বাদপড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে নগরীর অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের মতামত গ্রহণ করেন এবং বড় তিনটি উৎসবগুলো নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবগুলো উদযাপন সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের উদ্দ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে পুলিশের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

 

এছাড়াও, পুলিশ কমিশনার তরুণ প্রজন্মকে মাদক, ইভটিজিং, সাইবার অপরাধ, ট্রাফিক অইন এবং কিশোর অপরাধের বিষয়ে সচেতন করতে স্কুল ভিজিটিং কর্মসূচি চালু করেন।এসব কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, যা একটি নিরাপদ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের এসব প্রচেষ্টা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে সহায়ক।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২

error: Content is protected !!

রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি :

আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগর তথা (মেট্রোপলিটন) এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) নানা উদ্যোগ নিয়েছেন।ইতিমধ্যে তারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অনেক সফলতা অর্জন করেছে, পাশাপাশি নগরবাসির আস্থা অর্জনেও সক্ষম হয়েছেন।

জানা গেছে, দেশে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর অনেকটা মনোবল হারিয়ে ফেলে পুলিশ।জনবান্ধব পুলিশ গড়তে ও পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে পূর্বের ন্যায় আবারও কাজে উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। ইতোমধ্যে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকায় মাঠে কাজ করছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে পুলিশের নেতৃত্ব স্বর ভেঙে পড়ে, জনআস্থা থেকে পুলিশ অনেকটা ছিটকে পড়েছিল। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জনগণের কাছে পুলিশকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা সেই ধরাবাহিকতায় কাজ শুরু করছেন বাংলাদেশ পুলিশ।

 

এদিকে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন (আরএমপি)পুলিশের ৩২ তম পুলিশ কমিশনার হিসাবে যোগদান করেন মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।তিনি যোগদানের পর থেকে সফলভাবে চুরি, ছিনতাই, মাদক, অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে সাইবার ইউনিটের সহায়তায় হারানো মোবাইল উদ্ধার, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও অপরাধী গ্রেফতার, অসামাজিক কাজে লিপ্ত আবাসিক হোটেলে অভিযান, দুয়াড়ি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বাক্তিদের আটক, অস্ত্র উদ্ধার, দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, বিধ্বস্ত থানা মেরামত, চাঁদাবাজ আটক, বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, মানসিক ভারসাম্যহীন নারী উদ্ধার, ব্যাপক মাদক উদ্ধার, হারিয়ে যাওয়া শিশু উদ্ধার, জাল টাকা উদ্ধার, সাজাপ্রাপ্ত আনামী আটক, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্য বিভিন্ন পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিস্ফোরক মামলার আসামী গ্রেফতার, ক্লাস ফাঁকি দেওয়া ছাত্রদের আটক পুর্বক অভিভাবকের জিম্মায় প্রদান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীকে আটক, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নানা উদ্যোগ গ্রহণ, ছিনতাইকারী আটকসহ বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী ও সামাজিক কাজ করছেন আরএমপি পুলিশ।কমিশনারের প্রচেষ্টায় বিধ্বস্ত সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটও অপরাধ দমনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে ।

 

অপরদিকে সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটটি (আরএমপি) রাজশাহীর গোয়েন্দা শাখাসহ সকল থানা থেকে প্রাপ্ত মামলা, অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরি (জিডি), মারোনো মোবাইল উদ্ধার, সোশ্যাল মিডিয়া ফেক আইডি ব্যবহারের মাধ্যমে অপপ্রচার, পর্নেগ্রাফি এবং মোবাইল ব্যাংকিংর মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তা করছে। জননিরাপত্তায় আরএমপি পুলিশের ভূমিকা ও কার্যক্রম নিয়ে কথা বললে এডিসি (মিডিয়া) সাকিনা ইয়াসমিন বলেন, ডিআইজি মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। পুলিশ কমিশনার আরএমপিতে যোগদানের পর শহরে শারদীয় দুর্গোৎসব, যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন) এবং ইংরেজি নববর্ষের মতো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছে তিনি যোগদানের পর পুলিশের মনোবল বৃদ্ধি ও পুলিশী কার্যক্রম গতিশীলতা আনায়নে আরএমপি’র সকল ইউনিট পরির্দশন করেন এবং পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়াও রাজশাহী মহানগর এলাকায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য তিনি সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

 

এছাড়াও পুলিশি সেবা নগরবাসীর দেরগোড়ায় পৌছে দিতে এবং যেকোনো তথ্য ও সেবা পেতে আরএমপিতে তিনি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করেন রাজশাহী মহানগরীতে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ ও যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক ও মালিকদের নিয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেন। এছাড়াও তিনি রাজশাহীর সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম ও সাহেব বাজার কেন্দ্রিক মার্কেটসমূহের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে পার্কে আড্ডা দেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আটকের পর সচেতন করা এবং এর কুফল সম্পর্কে ধারণা দিয়ে ছেড়ে দেন।কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং সমাজ থেকে অপরাধ ভীতি দূরীকরণপূর্বক জনমনে স্বত্তি ও আস্থা অর্জন করতে বিট পুলিশিং কর্মসূচী জোরদার করেন।

 

এছাড়াও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অসামাজিক কার্যক্রম রোধকল্পে সাংবাদিকসহ নগরীর সচেতন ব্যাক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে তিনি শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ মাদকবিরোধী সাইকেল স্ট্যান্ডশোর অয়োজন করেন।

 

তিনি ৫ আগস্ট রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিট সমূহের সংস্কার পরর্বতী অপারেশন কার্যক্রমের জন্য আরএমপি ডিবি অফিস, ট্রফিক অফিস চালু করেন এবং বাদপড়া থানার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রচণ্ড শীতের প্রকোপ থেকে নগরীর অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি নগরীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের মতামত গ্রহণ করেন এবং বড় তিনটি উৎসবগুলো নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর ফলে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসবগুলো উদযাপন সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের উদ্দ্যোগ নগরবাসীর মধ্যে পুলিশের প্রতি ইতিবাচক ধারণা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

 

এছাড়াও, পুলিশ কমিশনার তরুণ প্রজন্মকে মাদক, ইভটিজিং, সাইবার অপরাধ, ট্রাফিক অইন এবং কিশোর অপরাধের বিষয়ে সচেতন করতে স্কুল ভিজিটিং কর্মসূচি চালু করেন।এসব কর্মসূচির মাধ্যমে স্কুল- কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, যা একটি নিরাপদ ও সুন্দর সমাজ গঠনে সহায়ক হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের এসব প্রচেষ্টা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে সহায়ক।


প্রিন্ট