২০ অক্টোবর শুক্রবার কুষ্টিয়ার খোকসায় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্পাদেয়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। শিশির ভেজা শরতের কাঁশ ফুলের কোমল ছোয়ায় শুভ্র নীল আকাশের ভেলায় ভেসে প্রকৃতির বুকে অনাবিল আনন্দের বন্যার আগমনের সাথে সাথে প্রতিবারের মতো এবারও খোকসায় মাতৃরূপিনী শ্রীশ্রী দুর্গা দেবীর আরাধনার ও উৎসবে সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন এর মধ্য দিয়ে শারদীয় উৎসব শেষ হবে।
পুলিশ প্রসাশন ও খোকসা পুজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে এবার খোকসায় সর্বাধীক ৬৪টি পুজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে । এরই মধ্যে চলছে সার সার রব প্রতিমা তৈরী কাজ শেষে দুগা উৎসব শুরু হবে। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি পুজার অনুষ্ঠানের সকল প্রস্ততি সম্পন্ন। এক জন প্রতিমা শিল্পী তৈরী করছে কয়েকটি প্রতিমা। কাদামাটি রং তুলি দিয়ে কে কত সুন্দর করে দেবীর প্রতিকৃতি আরো সৌন্দয্য ফুটিয়ে তুলতে পারে চলেছে প্রতিযোগিতা।উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুধাংশু বিশ্বাস মাধব বলেন আমরা সবাই মিলে মাতৃ আরাধনায় নিজেদেরর সমর্পণ করতে পেরে সবাই আনান্দিত। সেই সাথে তিনি সার্বজনীন দুর্গোৎসবকে সুন্দর ও সার্থক করতে সবার সহয়োগিতা কামনা করেন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র মালাকার বলেন আমি আশা করি প্রতিবারের মত এবারও আপামর জনসাধারন সকল দ্বিধা দ্বন্ধ ভেদা ভেদ ভুলে গিয়ে পুজার এই শুভ দিন গুলিতে সারদীয় দুর্গ উৎসব সুষ্ট ও সুন্দর ভাবে পালিত হবে এই আশা রাখি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস বলেন ইতি মধ্যে উপজেলা সকল প্রজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি, পুজার সকল প্রস্তুতি সপন্ন হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যরস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি সার্বজনীন শারদীয় দুর্গা উৎসবকে সার্থক ও সুন্দর করতে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা। থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটা পুজা মন্ডপে নিরপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও আনছার সদস্যদের। এছাড়াও একজন এস এই এর নেতৃত্বে প্রতিটা ইউনিয়নে টহল পুলিশ রাখা হয়েছে। তিনি সারদীয় দুর্গ উৎসবকে সুন্দর ভাবে পালনে সকলের সহয়োগিতা কামনা করেন।
প্রিন্ট