ঢাকা , বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মুকসুদপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo বালিয়াকান্দিতে ব্যাবসায়ীকে ডেকে নিয়ে মারপিটের ঘটণায় ৪ যুবক জনতার হাতে ধরা Logo গোপালগঞ্জে জাতীয় গ্ৰন্থাগার দিবস-২০২৫ পালিত Logo ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত Logo ভাঙ্গা উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত Logo ফরিদপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত ‌ Logo e-Paper-05.02.2025 Logo ফরিদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত ‌ Logo জনগণের বাংলাদেশ জনগণের হাতে তুলে দেয়ার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবেঃ অমিত Logo জাতি হিসেবে অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার লড়াই শুরু করতে হবেঃ -জামায়াতে আমির
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

পাইলস কেন হয়, এর লক্ষণ কী কী?

পাইলসে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। চিকিৎসার ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। আবার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারো যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।

পাইলস কেন হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ুদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে ছিঁড়ে যায় ও রক্তপাত হয়। এ সমস্যারই নাম পাইলস বা হেমোরয়েডস। রক্তপাতই এ অসুখের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ।

সাধারণত মলত্যাগের সঙ্গেই রক্তপাত হতে থাকে। এছাড়া ব্যথাও হয় অনেকের। তবে সবারই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয় তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ ধরা পড়লে সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

পাইলসের লক্ষণ কী?

> মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
>> মলের মঙ্গে রক্ত পড়া
>> মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব
>> মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও
>> রক্তপাত।

 

 

 

পাইলস রোগের সমাধান কী?

এ বিষয়ে ভারতের কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, প্রথমেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে যেতে হবে।

কনস্টিপেশন কমাতে পারলেই এ সমস্যা কমবে। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো হলো-

ফাইবারজাতীয় খাবার

পাইলসের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবার মল নরম করতে ও নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।

পানি পান করুন

অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই পানি পান করতেই হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক রোগেরই ঝুঁকি কমবে।

শরীরচর্চার বিকল্প নেই

রুদ্রজিৎ পাল এ বিষয়ে জানান, সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম করলে অন্ত্রের চলন ঠিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

শিশুদের টয়লেট ট্রেনিং দিন

এই চিকিৎসকের মতে, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে শিশুরা অনিয়মিত মলত্যাগ করছে। এতে ছোট থেকেই শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে শুরু করে ও অল্প বয়সেই সে পাইলসের রোগী হয়ে যায়।

এসব নিয়ম মেনেও যদি পাইলসের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এই অবস্থায় ল্যাক্সেটিভসহ বেশ কিছু ওষুধ দারুণ কার্যকরী বলে জানান ডা. রুদ্রজিৎ পাল।

তবে এই রোগ আরও গভীরে চলে গেলে ওষুধেও একসময় কাজ হয় না। তখন করতে হয় সার্জারি। এখন উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা এ অপারেশন করা হয়, যা খুবই নিরাপদ। সার্জারির পরে রোগী খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যান।

সূত্র: ওয়েবএমডি/মায়োক্লিনিক


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মুকসুদপুরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

error: Content is protected !!

পাইলস কেন হয়, এর লক্ষণ কী কী?

আপডেট টাইম : ০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
লাইফস্টাইল ডেস্ক :

পাইলসে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কমবয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। চিকিৎসার ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। আবার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এই সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারো যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।

পাইলস কেন হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ুদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে ছিঁড়ে যায় ও রক্তপাত হয়। এ সমস্যারই নাম পাইলস বা হেমোরয়েডস। রক্তপাতই এ অসুখের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ।

সাধারণত মলত্যাগের সঙ্গেই রক্তপাত হতে থাকে। এছাড়া ব্যথাও হয় অনেকের। তবে সবারই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয় তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ ধরা পড়লে সহজেই সমস্যার সমাধান করা যায়।

পাইলসের লক্ষণ কী?

> মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
>> মলের মঙ্গে রক্ত পড়া
>> মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব
>> মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও
>> রক্তপাত।

 

 

 

পাইলস রোগের সমাধান কী?

এ বিষয়ে ভারতের কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, প্রথমেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে যেতে হবে।

কনস্টিপেশন কমাতে পারলেই এ সমস্যা কমবে। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো হলো-

ফাইবারজাতীয় খাবার

পাইলসের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবার মল নরম করতে ও নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।

পানি পান করুন

অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই পানি পান করতেই হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক রোগেরই ঝুঁকি কমবে।

শরীরচর্চার বিকল্প নেই

রুদ্রজিৎ পাল এ বিষয়ে জানান, সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম করলে অন্ত্রের চলন ঠিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

শিশুদের টয়লেট ট্রেনিং দিন

এই চিকিৎসকের মতে, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে শিশুরা অনিয়মিত মলত্যাগ করছে। এতে ছোট থেকেই শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে শুরু করে ও অল্প বয়সেই সে পাইলসের রোগী হয়ে যায়।

এসব নিয়ম মেনেও যদি পাইলসের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এই অবস্থায় ল্যাক্সেটিভসহ বেশ কিছু ওষুধ দারুণ কার্যকরী বলে জানান ডা. রুদ্রজিৎ পাল।

তবে এই রোগ আরও গভীরে চলে গেলে ওষুধেও একসময় কাজ হয় না। তখন করতে হয় সার্জারি। এখন উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা এ অপারেশন করা হয়, যা খুবই নিরাপদ। সার্জারির পরে রোগী খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যান।

সূত্র: ওয়েবএমডি/মায়োক্লিনিক


প্রিন্ট