মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের আরএসকেএইচ ইনষ্ঠিটিশনের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অসুস্থ্য হাসেম আলীকে একটি স্যার্জিক্যাল বেড দিয়ে সহায়তা করলেন মাগুরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসেম আলীর ছেলে আকিদুলের হাতে এই সার্জিক্যাল বেড তুলে দেওয়া হয়। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাসেম আলীর খোঁজ-খবর নেন যুবলীগ নেতা। এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকছেদুল মোমিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
মহম্মদপুর উপজেলা যুবলীগ কর্মী তানভীর রহমান রাজু ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার অসুস্থ শিক্ষক হাসেম আলীকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার পর বিষয়টি জেলা যুবলীগের আহবায়কের দৃষ্টিগোচরে আসলে তিনি ওই শিক্ষক একটি সার্জিক্যাল বেড দিবেন বলে প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন এবং আজ রবিবার সন্ধ্যায় বেডটি তার পরিবারে স্বজনতের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকছেদুল মোমিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মৎসজীবি লীগের নেতৃবৃন্দ।
হাসেম আলী ১৯৮৫ সালে মহম্মদপুর উপজেলা সদরের আরএসকেএইচ ইনষ্ঠিটিশনে ২৮৫ টাকা বেতনে শিক্ষকতায় যোগ দান করে সুনামের সাথে চাকরি জীবনের ইতি টেনে ২০১৩ সালের ২৫ মে অবসরে আসেন। এর কিছুদিন পরেই স্ট্রোকজনিত কারনে তার দেহের বাম সাইডে প্যারালাইসে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শারীরিক অক্ষমতার কারনে তারপর থেকেই শয্যায়ায়ী তিনি। পিতার সেবা দিতে একমাত্র সন্তান আকিদুল হোসেন চাকরি জীবন ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আর্থিক অনটনে এক সময় থমকে যায় তার চিকিৎসা ব্যবস্থা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানাজানি অসংখ্য শিক্ষার্থী প্রিয় শিক্ষক হাসেম আলীকে সহযোগিতার হাত বাড়ান। এর মধ্যে প্রবাসী অনলাইন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে তাকে নগত অর্থ প্রদান করেন। সম্প্রতি তিনি বেশী অসুস্থ হলে ২১ সেপ্টেম্বর তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে মাগুরা জেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. ফজলুর রহমান বলেন, ফেসবুকে হাসেম স্যারের অসুস্থতার খবর পেয়ে মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামানের আর্থিক সহযোগিতায় যুবলীগের হটলাইন টিমের মাধ্যমে তাকে একটি সার্জক্যাল বেড প্রদান করা হয়েছে। আরএসকেএইচ ইনষ্ঠিটিশনের প্রধান শিক্ষক আমরা বিভিন্ন সময়ে তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছি। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোকছেদুল মোমিন বলেন, তার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেকটা ভাল। আমরা সব সময় তাকে পর্যাবেক্ষনে রাখছি।
প্রিন্ট