অনুষ্ঠানে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে এই টার্মিনাল আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বাস চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে। কাঁচপুর আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ জেলার গণপরিবহন চলাচল করবে। এটি নির্মিত হলে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে শুধু নগর পরিবহনের বাস চলাচল করবে। ঢাকার যাত্রীরা যাতে নিরাপদে কাঁচপুর বাস টার্মিনালে এসে দূরপাল্লার বাসে সহজে উঠতে পারেন সেজন্য নগর পরিবহনের বাস সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচল করবে।
তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল নির্মাণের পর আর কেউ ঢাকায় বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়নি। যে কারণে ঢাকায় পরিবহন ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলা নেই। নগর পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতেই ঢাকার বাইরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন বাস টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। কাঁচপুর বাস টার্মিনাল নির্মাণকাজ শেষ হলে ঢাকার যানজট কমে আসবে এবং নগর পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, রাজধানীর বাইরে ঢাকার চারপাশে আন্তজেলা বাস চলাচলের জন্য হেমায়েতপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন। তারই প্রথম উদ্যোগ কাঁচপুর বাস টার্মিনাল।
তিনি বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে টার্মিনালের মাটি ভরাট, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, চালক ও হেলপার কর্মচারীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করাসহ বাস টার্মিনালে বাস রাখার উপযোগী করে তোলা হবে।