নোয়াখালী সংবাদদাতা
‘কাউয়া কাদেরের আস্তানা, জালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও, স্বৈরাচারের দোসর ওবায়দুল কাদেরের আস্তানা ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’সহ নানা স্লোগান দিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে এ ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ সময় ওবায়দুল কাদেরের ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফজলুল কাদের মিন্টু এবং শাহাদাত হোসেনের বাসভবনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা বলেন, গত জুলাই আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর যে হামলা ও নিপিড়ন চলে ছিলো তার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এ ওবায়দুল কাদের। তার নির্দেশে নিরপরাধ ছাত্রদের হত্যা করা হয়েছে, তার নির্দেশে চলেছিলো শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন। আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ অপকর্মের মূল হোতা কাদের। সে এখনও পালিয়ে রয়েছে, পালিয়ে থেকেও সে তার দলের নেতাকর্মীদের উস্কিয়ে দিচ্ছে এবং দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে।
ছাত্রজনতা আরও অভিযোগ করেন, গত ৫আগস্টের পর কাদেরের ভাইরা তাদের পরিবার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কে বা কারা ইন্দন দিয়ে তার ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িটি পুনঃনির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের চিহিৃত করে বিচারের দাবি করেছেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতা ফ্যাসিবাদের দোসরদের আস্তানা ভেঙে দিচ্ছে। আমি বর্তমান সরকারকে হুসিয়ার করে বলতে চাই, আপনাদেরকে আমাদের এ ছাত্র জনতাই ক্ষমতার আসনে বসিয়েছে। অতএব ছাত্র সমাজের ইমোশন বুঝতে হবে। ছাত্রজনতা বিগত সময়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, জুলাই গণহত্যা দেখেছে। এ গণহত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। আমরা দেখেছি প্রকাশ্যে গুলি করা হয়েছে, পুলিশ গুলি করেছে এত তথ্য চিত্র থাকার পরও তাদের বিচার করা হচ্ছেনা কেনো? আপনারা যদি বিচার করতে ব্যার্থ হন আমরা অপনাদেরও বিরুদ্ধে দাঁড়াবো।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন ওবায়দুল কাদেরের এ বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে এ বাড়িতে কেউ বসবাস করতেন না।
প্রিন্ট