মোঃ আলম মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদীঃ
নরসিংদীর শিবপুরে বাদল মোল্লার বিরুদ্ধে বালুর ট্রাকে বাধা ও টাকাসহ ব্যাগ ছিনতাই এর অভিযোগ। আজ (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটা দিকে কারারচর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। শিবপুরের কারারচর এলাকার মোঃ মুমিনুল হক মোমেনের ছেলে নয়ন মিয়া শিবপুর মডেল থানায় এই অভিযোগটি করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কারারচর এলাকায় মিঠুন এন্টারপ্রাইজের প্রতিষ্ঠানে নয়ন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। এরই সুবাদে আজ সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি বালু বুঝায় ট্রাক কারারচরে বালু নিয়ে আসে। ওই বালু আনলোড করার জন্য ম্যানেজার নয়ন মিয়া ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় শিবপুর কারারচর এলাকার বাদল মোল্লা (৫০), বেদন মোল্লা (৪৮), শামীম মোল্লা (৪০), সর্বপিতা মৃতঃ সুলতান মোল্লা ও পাপন মোল্লা, পিতা- সেলিম মোল্লা, আরো অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন। ম্যানেজার নয়ন মিয়াকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে বেলচা দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে সাথে থাকা বালু, ইট, সিলেকশনের নগদ ৪,৭৫,০০০/- (চার লক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকাসহ ব্যাগটি ও একটি কুটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় বলে জানান নয়ন মিয়া।
এ বিষয়ে রুবেল মিয়া বলেন, বিল্ডিং করার শুরু থেকে মিঠুন এন্টারপ্রাইজ আমাকে বালু, ইট, সিলেকশনের দিয়ে আসছে সকালে বালুর গাড়ি আসছে আমাকে জানায়। আমি ঘটনাস্থলে আসি বাদল মোল্লা আমাকে বলে এখান থেকে চলে যান। আমি বাড়িতে চলে আসি।
এ বিষয়ে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসাইন বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে পৌনে সাতটা দিকে বাদল মোল্লার পরিচিত এক লোক ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে জানায় ফজরের নামাজের পরে মিঠু মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে গুলি করার জন্য কারারচরে যায়। এ সময় এলাকার লোকজন তাকে ঘিরে ধরলে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমি পরস্পরের বক্তব্য শুনেছি। মূলত তাদের দীর্ঘদিন ধরে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরুধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত ২৬ তারিখে খোকা মোল্লার একজন লোকের একটি আঙ্গুল কেটে যাওয়ার সময় চারটি আঙ্গুল দগ্ধ হয়। ওই ঘটনায় আমাদের থানায় একটি মামলা হয় মামলা নং ২৬/২৫। তখন থেকেই খোকা মোল্লার এলাকায় বাদল মোল্লার লোকজন কোন কিছু করতে পারে না। বাদল মোল্লার এলাকায় খোকা মোল্লার লোকদের কোন কিছু করতে দেয় না। তারই জের ধরে আজকে সকালে ম্যানেজার নয়ন বাদল মোল্লার এলাকায় বালু আনলোড করতে যায় তখন বাদল মোল্লার লোকজন নয়নকে দাওয়া দেয় ওই সময় নয়ন মোটরসাইকেলটি রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বাদল মোল্লার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০ টায় আজিজুল গ্রুপের লোকজন ঝুটের গাড়ি বের করার চেষ্টা করলে। বাদল মোল্লা ও শামিম মোল্লা গং ছুরি চাকু, লাঠি-সোটা নিয়ে বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুহয়। বাদল মোল্লার লাঠিয়াল বাহিনী দেলোয়ারকে কুপিয়ে শাকিল ও আজিজুলকে গুরুতর জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে একাধিক রাউন্ড গুলি শব্দ শুনে স্থানীয়রা। ওই ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই আজকে এই ঘটনার সুপ্রভাত বলে জানায় এলাকাবাসী।
প্রিন্ট