ঢাকা , শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo হাতিয়ায় নব পাঠদান ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo তানোরে আহম্মদ চ্যারিটি সেন্টারের শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদান Logo রাজশাহীতে শীতার্ত দু:স্থ অসহায় মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি’র মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ফরিদপুরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য নিহত Logo তানোরে পল্লী বিদ্যুতের দুর্নীতিতে হুমকির মুখে পানির স্তর Logo সাগরদাঁড়িতে অশ্লীলতা বাদ দিয়ে হবে মধুমেলাঃ -জেলা প্রশাসক যশোর Logo লালপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ভাটা বন্ধ Logo মধুখালীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাঘার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী চপল আলীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

বাঘায় সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টেকনোলজিস্ট’র ভুয়া স্বাক্ষরে রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ

রাজশাহীর বাঘায় চাকুরি ছেড়ে যাওয়া মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর  নাম সংবলিত সিলে জাল স্বাক্ষর করে  রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি  প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করে আসছিলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। তবে চাকরি ছাড়ার পরও তার  নাম সংবলিত সিলে স্বাক্ষর করে রিপোর্ট দিচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি।
গত ১৯ জুলাই মেহেদী হাসানের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মোঃ বানেজ (৬০)নামে এক রোগীকে টি.প্লাটিলেট পরীক্ষার দেওয়া রিপোর্টে  এর সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রদত্ত রিপোর্টে দেখা গেছে,তার ডেঙ্গু সন্দেহে পরীক্ষার জন্য উপদেশ দেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সাব এ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার(সেকমো) এবি আল ফিরোজ।
মোঃ বানেজ বলেন, আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে ।
মেহেদী হাসানের নাম সংবলিত সিলে রিপোর্ট দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারি বাদশা আলম দাবি করেন, বিশেষ কাজে বাঘায় এসেছিলেন, এসময় তাকে দিয়ে রিপোর্ট করিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বলেন, গত ২মাস আগে সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য এক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। পরে সেখানে কোন রোগীর রিপোর্ট আমি দিই নাই। এরপরও তারা আমার সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে আসছে, এর দায়ভার আমি নিতে রাজি নই।
জানা যায়,উপজেলার অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থায়ী কোন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাই। যার কারণে না বুঝে বেশিরভাগ রোগী প্রতারিত হচ্ছেন।  গরিব মানুষদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আয় করছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানাও গুনেছেন- সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
ওই রোগীর রিপোর্টসহ দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন,ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোঃ ফারুক বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন করব।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

হাতিয়ায় নব পাঠদান ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

বাঘায় সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টেকনোলজিস্ট’র ভুয়া স্বাক্ষরে রিপোর্ট প্রদানের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
আব্দুল হামিদ মিঞা, বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
রাজশাহীর বাঘায় চাকুরি ছেড়ে যাওয়া মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এর  নাম সংবলিত সিলে জাল স্বাক্ষর করে  রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি  প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করে আসছিলেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মেহেদী হাসান। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। তবে চাকরি ছাড়ার পরও তার  নাম সংবলিত সিলে স্বাক্ষর করে রিপোর্ট দিচ্ছে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি।
গত ১৯ জুলাই মেহেদী হাসানের সিল ও স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মোঃ বানেজ (৬০)নামে এক রোগীকে টি.প্লাটিলেট পরীক্ষার দেওয়া রিপোর্টে  এর সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রদত্ত রিপোর্টে দেখা গেছে,তার ডেঙ্গু সন্দেহে পরীক্ষার জন্য উপদেশ দেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সাব এ্যাসিসটেন্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার(সেকমো) এবি আল ফিরোজ।
মোঃ বানেজ বলেন, আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। পরীক্ষার জন্য তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে ।
মেহেদী হাসানের নাম সংবলিত সিলে রিপোর্ট দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারি বাদশা আলম দাবি করেন, বিশেষ কাজে বাঘায় এসেছিলেন, এসময় তাকে দিয়ে রিপোর্ট করিয়ে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বলেন, গত ২মাস আগে সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য এক প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। পরে সেখানে কোন রোগীর রিপোর্ট আমি দিই নাই। এরপরও তারা আমার সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে আসছে, এর দায়ভার আমি নিতে রাজি নই।
জানা যায়,উপজেলার অনেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্থায়ী কোন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নাই। যার কারণে না বুঝে বেশিরভাগ রোগী প্রতারিত হচ্ছেন।  গরিব মানুষদের অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে আয় করছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানাও গুনেছেন- সেবা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
ওই রোগীর রিপোর্টসহ দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উপজেলা নির্বাহি অফিসার শারমিন আখতার বলেন,ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মোঃ ফারুক বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন করব।

প্রিন্ট