কুষ্টিয়ার খোকসায় নবনির্মিত মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির মন্ত্র’ উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
শনিবার বিকেল ৪ টায় খোকসা উপজেলা পরিষদ এর দক্ষিণ পাশে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির মন্ত্র’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোকসার কৃতি সন্তান যার একান্ত চেষ্টায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির মন্ত্র” খোকসা নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আজকের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির মন্ত্র’ স্থাপন করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্মিলিত “মুক্তির মন্ত্র” স্মৃতিসৌধটি বাঙালি জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও বাঙালিয়ানার এক প্রতিচ্ছবি। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে নিরস্ত বাঙালির একমাত্র অস্ত্র ছিল। মুক্তিযোদ্ধের এ সকল স্মৃতিচিহ্ন স্মরণে আজকের ‘মুক্তির মন্ত্র’ স্মৃতি স্তম্ভটি উদ্বোধন করা হল।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার নবাগত জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, কুষ্টিয়া জেলার বিজ্ঞ জেলা ও দয়ারা জজ রুহুল আমিন, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, খোকসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস, খোকসা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক, সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিধান চন্দ্র হালদার,থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা হাবিবুল্লাহ, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল আলম তসর প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহান মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ ‘মুক্তির মন্ত্র’ নির্মাণের আবেদনকারী যিনি উক্ত স্মৃতিস্তম্ব নির্মাণের জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন খোকসার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট লেখক কলামিস্ট সাহিত্যিক দৈনিক কুষ্টিয়া পত্রিকার সম্পাদক ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডঃ আমানুর আমান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ মিজানুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলী, কুষ্টিয়া জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, শিক্ষক মন্ডলী, সুধী ও সাংবাদিকগন।
উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবোধায়ণে ৫৩ ফুট লম্বা ও সাড়ে ১৬ ফুট উচ্চতা স্মৃতিস্তম্ভ “মুক্তির মন্ত্র”টি নির্মান করা হয়। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
স্মৃতিস্তম্ভটিতে তুলে ধরা হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মুড়াল , ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন, মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় ২জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও ৩৫ জন মুক্তিকামী শহীদদের নাম, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ঘটনাবলি। এছাড়াও এখানে একটি লাইব্রেরী, একটি মিউজিয়াম ও শহীদ মিনার নির্মাণ হবে জানা যায়।
প্রিন্ট