ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা Logo নোয়াখালী চাটখিলে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে হত্যার হুমকি Logo খোকসায় ১ম হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও সকল এ+ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo যশোরের কেশবপুরে সমাজসেবক বদরুন্নাহার রেশমা চিরনিদ্রায় শায়িত Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস–২৫’ উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

রিপন সরকারঃ

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি, আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিং এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আজ বুধবার ১৬ জুলাই সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোঃ জসিম উদ্দিন খাঁন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার খাদুন এলাকায় ৬৯টি দলিলের মাধ্যমে মোট ৪৮৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেন। দলিল অনুযায়ী এসব সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা হলেও বাস্তব বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই জমির ওপর স্থাপিত রয়েছে গাজী টায়ার কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো।

সিআইডি আরও জানায়, এসব সম্পত্তি তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেন। সংশ্লিষ্ট জমি ও সম্পদের উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রমাণপত্র না থাকায় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি চৌকস টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে আসায় সিআইডির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করলে, গত ৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

সিআইডি আরও জানায়, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত একাধিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি তদন্তের আওতায় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরে তথ্য ও নথিপত্র চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

সিআইডি বলছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়ে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা

error: Content is protected !!

সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

আপডেট টাইম : ১৯ ঘন্টা আগে
রিপন সরকার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :

রিপন সরকারঃ

সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি, আন্ডার ও ওভার ইনভয়েসিং এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি ক্রোক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। আজ বুধবার ১৬ জুলাই সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোঃ জসিম উদ্দিন খাঁন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

সিআইডি জানায়, গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার খাদুন এলাকায় ৬৯টি দলিলের মাধ্যমে মোট ৪৮৭৯ দশমিক ৯২ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করেন। দলিল অনুযায়ী এসব সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা হলেও বাস্তব বাজারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এই জমির ওপর স্থাপিত রয়েছে গাজী টায়ার কারখানাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো।

সিআইডি আরও জানায়, এসব সম্পত্তি তিনি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেন। সংশ্লিষ্ট জমি ও সম্পদের উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট প্রমাণপত্র না থাকায় ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি চৌকস টিম তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নানা অনিয়মের তথ্য উঠে আসায় সিআইডির অনুসন্ধান কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করলে, গত ৮ জুলাই ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।

সিআইডি আরও জানায়, গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং এবং বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত একাধিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি তদন্তের আওতায় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা ও দফতরে তথ্য ও নথিপত্র চেয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।

সিআইডি বলছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়ে এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


প্রিন্ট