কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনার দীর্ঘ ছয় মাস পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে এক বছরের জন্য স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের ২০২ নং কক্ষে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ড. শাহাদৎ হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি ও হাইকোর্টের যে প্রতিবেদন আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল তার আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট অনুসারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অন্তরাসহ অভিযুক্ত পাঁচজনের প্রত্যেককে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর পার্ট-২ ধারা-৮ মোতাবেক সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে এক বছরের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।’
চলতি বছরের ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ফুলপরী নামের এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেত্রী ও পরিসংখ্যান বিভাগের সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে হল, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, উচ্চ আদালত এবং ছাত্রলীগ কতৃক পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। তদন্ত শেষে প্রতিবেদনের আলোকে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে হাইকোর্টের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওই পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগ তাদের তদন্তের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করে।
প্রিন্ট