রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার শলুয়া গ্রামে কৃষক পরিবারের নিরীহ মোক্তার মন্ডলকে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে মারপিট, খুন জখমের ভয় ভীতি প্রদর্শন ও হুকুমের ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) প্রতিপক্ষের ৬জনের বিরুদ্ধে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩, ধারা ঃ ১৪৩/৩২৩/৫০৬(২)১১৪ পেনাল কোর্ড, ১৮৬০।
শলুয়া গ্রামের মৃত আলীমুদ্দি মন্ডলের ছেলে মোক্তার মন্ডল (৪৫) নিজে বাদী হয়ে একই গ্রামের উকিল মন্ডলের ছেলে লিটন মন্ডল, মৃত করিম মন্ডলের ছেলে ছাকেন মন্ডল, মৃত আকবার মোল্লার ছেলে আজাদ মোল্লা, মকা মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, মৃত আনসার মোল্লার ছেলে মুকুল মোল্লা ও বছির মোল্লার ছেলে মিজান মোল্লা মোট ৬জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, গত ৪ জুলাই সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে শলুয়া গ্রামের জনৈক মোতাহার মোল্লার মুদিখানা দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে অন্যান্যদের সাথে টিভি দেখার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উক্ত বিবাদীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধে মোক্তার মন্ডলকে অতর্কিতভাবে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। মোক্তার মন্ডল গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে আজাদ মোল্লা অন্যান্য বিবাদীদেরকে হুকুম দিয়ে বলে যে, “মোক্তার মন্ডলকে আমাদের বিপক্ষে দল করার সাধ মিটিয়ে দে।” এই হুকুম পাওয়ার সাথে সাথে বিবাদী আজাদ মোল্লাসহ অপর বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা হাতুড়ী ও লোহার রড দিয়ে মোক্তার মন্ডলকে এলোপাথারী মারপিঠ করে নিলাফুলা জখম করে। ঘটনার সময় মোক্তার মন্ডলের ডাক-চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে গেলে বিবাদীরা তাকে খুন জখমের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
- আরও পড়ুনঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বরাবর বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান
স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তিনি নিজ বাড়ীতে অবস্থান করছেন। ঘটনার পর থেকে মোক্তার মন্ডল ও তার পরিবারের লোকজন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
প্রিন্ট