বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকের উদ্যোগে ১০নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের বরাবর একাত্তরের গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবীতে স্বারক লিপি প্রদান করেন।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ করেন ব্রিটিশ সরকার একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের দোসর আল বদর রাজাকার দ্বারা সংঘঠিত নিরিহ বাঙ্গালীদের উপর নির্বিচারে গনহত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯৫ জন পাকিস্তানী সৈনিকের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার ও গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পক্ষে জোর দাবী জানাবে।একাত্তরে ধর্মের নামে গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রকৃত পক্ষে এিশলক্ষ শহীদ আর দুইলক্ষ মা বোনের আত্ন মর্যাদা ও আত্মদানের স্বীকৃতি।মৌলবাদী ও স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতিরারীদের গনহত্যা অস্বীকারের অপচেষ্টা প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের গনহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য ব্রিটিশ সরকার অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করেন বঙ্গবন্ধু লেখক ও সাংবাদিক ফোরাম ইউকের নেতৃবৃন্দ।তারা আরো উল্লেখ করেন ১৯৭২ সালে জানুয়ারী মাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে লন্ডনে আসলে বিট্রিশ সরকার যে ভূমিকা রেখেছিলো বাঙ্গালী জাতি শ্রদ্ধার সাথে তা চিরদিন স্বরণ করবে।।লন্ডনের মাটিতে বাংলাদেশে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি সব সময়ই আলাদা তাৎপর্য বহন করে – কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গৃহীত এক প্রস্তাবেই প্রথম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ‘জেনোসাইড’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চলমান ভূ-রাজনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধের কারণে ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত এই ন্যাক্কারজনক জেনোসাইড এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি। যুগ যুগ ধরে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য প্রণোদিত রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক প্রচারণার কারণে একাত্তরের জেনোসাইডের শিকার লাখো নারী ও পুরুষ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন পর্যন্ত এই জেনোসাইডের ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।
স্বারক লিপি প্রদানের সময় উপস্তিত ছিলেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল,উপদেষ্টা মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক আনছার আহমেদ উল্লাহ,সিকদার মোহাম্মদ কিটন,সহ সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছির প্রমুখ।
প্রিন্ট