রাজশাহীর বাইরে জেলার ইজারা নিয়ে বাঘা উপজেলায় নতুন একটি খেয়াঘাট চালুর অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ইজাদারের সাথে বাক-বিতন্ডার ঘটনাও ঘটেছে। রোববার (২-৭-২০২৩) উপজেলার আতারপাড়া ফেরিঘাট এলাকার বারশতদিয়াড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জেলার বাঘা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় থেকে চলতি বছরে(বাংলা ১৪৩০) গোকুলপুর, চৌমাদিয়া, কিশোরপুর,দিয়াড়কাদিরপুর ও আতারপাড়া ফেরিঘাট ইজারা দেওয়া হয়। শর্তপূরন সাপেক্ষে আয়কর-ভ্যাটসহ ইজারামূল্যর ৮৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ফেরিঘাট ইজারা নেন পাকুড়িয়া গ্রামের সুরুজ আলী। বাংলাসনের বৈশাখ মাস থেকে যথারীতি ঘাট পরিচালনা করছেন।
হঠাৎ করেই মশিদপুর গ্রামের নাহারুল ইসলাম নামের একজন তার লোকজন নিয়ে ইজারা নেওয়া এলাকায় নতুন ঘাট চালু করেন। স্থানীয়রা জানান, এনিয়ে উভয় পক্ষ বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
সুরুজ আলী জানান,নাহারুল ইসলাম কুষ্টিয়া জেলার উদয়নগর এলাকার ফেরিঘাট ইজারা নিয়েছেন। পরে বাঘা উপজেলার আতারপাড়া ফেরিঘাট এলাকার বারশতদিয়াড় গ্রামে নতুন একটি ফেরিঘাট চালু করেন নাহারুল ইসলাম। তাকে নিষেধ করে বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছেন।
নাহারুল ইসলাম দাবি করেন, জোর করে কোন কিছু করা হয়নি। তিনি জানান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়েছি। পদ্মা নদীর ওপর অবস্থিত উদয়নগর মৌজার খাজিরাথাক ও উদয়নগরসহ বাঘার দিয়াড়কাদিরপুর ও আতারপাড়ার আংশিক এলাকার ফেরিঘাট ইজারা দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে। সেখানকার যাওয়া-আসা যাত্রীদের জন্য বারশতদিয়াড় এলাকার জায়গাটি বেছে নিয়েছেন। যা আতারপাড়া ফেরিঘাট এলাকার বাইরে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার (চলতি দায়িত্বে) সহকারি কমিশনার (ভ’মি) জুয়েল আহমেদ বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে দেখার পর, অবৈধভাবে ঘাট পরিচালনার দায়ে নাহারুলের ফেরি পারাপারের একটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা নৌকা বিজিবির হেফাজতে রাখা আছে। উভয়পক্ষকে তাদের ইজারা নেওয়া এলাকায় বাইরে ঘাট পরিচালনা করতে নিষেধ করা হয়েছে।
প্রিন্ট