যশোরে তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজামের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে একটিই মাত্র এজতেমা হবে। দেশের কোন মারকাজ আর ছেড়ে দেয়া হবে না। মসজিদ থেকে সাদপন্থীদের বের করে দেয়া হবে। শুক্রবার বাদজুম্মা যশোর দড়াটানা ভৈরব চত্বরে মিছিল পূর্ব এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
টঙ্গী ইজতেমা মাঠে হামলাকারী পথভ্রষ্ট সাদপন্থীদের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা এবং টঙ্গী হত্যাকান্ডে জড়িতদের জামিন বাতিল করে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল করিম যশোরী।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা ইমাম পরিষদের সাবেক সভাপতি, দারুল আরকাম কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল মান্নান, জেলা তাবলীগের শুরা সদস্য মুফতি মাওলানা শফিউল্লাহ, শুরা সদস্য বিশিষ্ট মুবাল্লিগ মশিউর রহমান, জেলা ইমাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বেলায়েত হোসেন, জেলা ফতোয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মুফতি মাওলানা মুজিবুর রহমান, মুফতি মাওলানা হুরায়রা প্রমুখ।
শুরা নেতৃবৃন্দ বলেন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে যারা হামলা করেছে তারা পথভ্রষ্ট। তাদের সকল কর্মকান্ড সারা দেশে নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। সাদপন্থীরা একজন ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার সাথে যুক্ত হয়েছে। তারা কখনো ইসলামের প্রকৃত ধর্ম প্রচারক হতে পারে না। নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সাদপন্থিদেরকে যারা প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে না। টঙ্গী হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দারুল আরকাম মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতি ওবায়দুল্লাহ শাকির।
প্রিন্ট