ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছাগল দিনের বেলা চুরি করে পশুর হাটে বিক্রি করতে নেওয়ার সময় ধরা খেয়েছেন রবিউল ফকির (৩৫) নামের এক যুবক। শনিবার বিকেলে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে রবিউল ফকির ও তাঁর স্ত্রী খাদিজা বেগমের নামে আলফাডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই গ্রামের ইকবাল ফকির।
রবিউল ফকির উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের চান্দড়া গ্রামের মৃত্যু আক্তার ফকিরের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার চান্দড়া গ্রামে ইকবাল ফকিরের সাথে একই গ্রামের রবিউল ফকিরের জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসচ্ছে। শনিবার বিকেলে ইকবাল ফকিরের বসতবাড়ির পাশ থেকে রবিউল ফকির কৌশলে একটি ছাগল গোপালপুর পশুর হাটে বিক্রি করতে নেওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন বুঝতে পারলে রবিউল ছাগল রেখে পাশ্ববর্তী সাহাবুদ্দিন ফকিরের বাড়ি পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী উপস্থিত হলে রবিউল পালিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় বাদীর ছোট ভাই মহিদুল ফকিরকে গ্রামের সাহাবুদ্দিনের বাড়ির পাশে একা পেয়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। শোরচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে রবিউল পালিয়ে যায়।
ইকবাল ফকির আরও অভিযোগ করেন, তাদের ফাঁসাতে কিছু খারাপ লোকের পরামর্শে রবিউল আহতর ভান করে ওই দিন রাত সাড়ে ৮ টায় আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
এ নিয়ে কথা বলতে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিউল ফকিরের কাছে গেছে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইকবাল ফকিরের ছাগল আমার বাড়ির ক্ষেতে প্রবেষ করে ফসল নষ্ট করলে আমি তাদের একাধিক বার বারণ করেছি তাঁর ছাগল যেনো আমার ক্ষেতে না আসে। এ কথার পরেও তাঁর ছাগল ছেড়ে দিয়ে আমার ক্ষেত নষ্ট করেছে। শনিবার বিকেলে ছাগল ধরে কামারগ্রাম খোঁয়াড়ে নেওয়ার সময় তারা আমাকে চোঁর বলে আমাকে ও আমার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে মারধর করে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওসি মো.আবু তাহের।
প্রিন্ট