বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদে সব ক্ষেত্রে ইতিবাচক অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার জন্যই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শান্তি ও অগ্রগতি এসেছে। তার নীতিগুলো এই বিশাল অঞ্চলকে শান্ত করেছে। উন্নতির মঞ্চে রেখেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ‘ফরেন করেসপনডেন্টস ক্লাব অব সাউথ এশিয়া’ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার প্রাথমিক বক্তব্যের পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির বিষয়টিও আলোচনায় আসে। হাইকমিশনার বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়টি ত্বরান্বিত করা দরকার, বিশেষ করে তিস্তার। উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষের জন্য এই জট দ্রুত খুলে দেয়া দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ অর্জন করেছে। দেশে এখন যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসেছে তা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাও জরুরি। এটি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের লক্ষ্যও। বাংলাদেশও তাই চায়। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে স্থিতিশীল। অতীতে অনেক জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এই সরকারের অধীনে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এটা এখনো ঘটছে। এই অর্জন সহজে আসেনি। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। গণতন্ত্রের এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তারা কি গণতন্ত্রের স্বার্থে ভারতের নির্বাচন কমিশনের সাহায্য নিতে আগ্রহী- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা সিদ্ধান্ত নেবে যে অন্য কারো সাহায্য, সমর্থন বা পরামর্শ প্রয়োজন কিনা। দেশ হিসেবে ভারতের সাহায্য-সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানতে চাইলে মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দেশের অবদান অনস্বীকার্য।
এই বন্ধুত্বের ব্যাপ্তি গত পাঁচ দশক ধরে। বাংলাদেশ তার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের স্বার্থে সব বন্ধুপ্রতিম দেশের সাহায্য ও সমর্থন চায়। বাংলাদেশ সব সময়ই তার নিকটতম প্রতিবেশী ও পরম বন্ধু হিসেবে ভারতের সাহায্য প্রত্যাশা করে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, সরকার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে চলছে।
প্রিন্ট