রাজশাহী বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলের চতুর্থ শেণির এক ছাত্রী (১১) কে ধর্ষনের অভিযোগে শিমুল হোসেন (৩০) নামের একজনকে প্রধান আসামী করে ৩জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান। মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে তিনি বাদি হয়ে পলাশি ফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে শিমুল হোসেন,আব্দুর রহিমের ছেলে পারভেজ আলী(২৩) ও আসলাম ব্যাপারির ছেলে রকি আহমেদ(১৮) এর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার (১৪ জুন) সকালে শারিরিক পরীক্ষার জন্য ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর হয়। উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রীর মা আমেরজান বিবি সৌদি প্রবাসি। পিতা জাহিদুল ইসলাম ঢাকায় রিকসা চালান। ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই দাদার কাছে থেকে লেখা পড়া করে। মঙ্গলবার স্কুলে না যাওয়ায় ছাত্রীর চাচা সাইদুর রহমান বকাঝকা করেন ।
এর পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরাজাপুর বাজারে যাওয়ার পাঁকা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। অপর দিকে মোটর বাইকে আসছিল ওই ৩জন। ফাঁকা রাস্তায় ছাত্রীকে একা পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তারা উদপুর গ্রামের আমিনের খাপালের পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শিমুল হোসেন হোসেন ছাত্রীকে ধর্ষন করে। অপর ২জন- পারভেজ আলী(২৩) ও রকি আহমেদ পাহারা দিচ্ছিল।
মামলার বাদি সাইদুর রহমান জানান, ছাত্রীর মুখে বিষয়টি জানার পর এলাকার লোকজন তাদের ধাওয়া করে। এর পর তারা আত্নগোপনে চলে যায়। পরে মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাতে শিমুল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৩জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
ওই ছাত্রীর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান জানান, দ্বিতীয় শিফট ১২ টার ক্লাশে তার স্কুলে আসার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ১০ টার দিকে ঘটনার কারনে স্কুলে আসেনি বলে জানেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডিএম বাবুল মনোয়ার বলেন, দুই সন্তানের জনক শিমুলসহ অপর ২জন পারভেজ ও রকি আহমেদ দিনমজুর। রাজমিস্ত্রী থেকে যখন যে কাজ পান করেন। আইনের মাধ্যমে ভুক্তভুগি বিচার এবং দোষীরা সাজা পাক, সেটা চাই।
সরেজমিন ঘটনাস্থল এলাকায় গিয়ে মামলায় অভিযুক্তদের পাওয়া যায়নি। শিমুলের বাড়ি ছিল তালাবদ্ধ। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। রকির পিতা আসলাম ব্যাপারি জানান, তার ছেলে শিমুল হোসেনের সাথে কাজ করে। সেই সুবাদে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে জেনেছেন বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে ।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। ছাত্রীর শারিরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট