ঢাকা , সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি জোরালো করার দাবী Logo বিএনপির চেয়ারপার্সনের সুস্বাস্থ্য কামনায় দিনমজুর ও পথচারীদের মাঝে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ Logo তানোরে পথচারীদের মাঝে ছাতা ও খাবার বিতরণ Logo সালথায় স্কুলের টিউবওয়েলের পানি খেয়েই ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অসুস্থ Logo গোমস্তাপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত Logo কুষ্টিয়ায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২ Logo ফরিদপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo ভেড়ামারা সাংবাদিক কন্যা আসমাউল জান্নাত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বেস্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন Logo তানোরে রাব্বানী-মামুন একট্টা জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া Logo লন্ডন মেয়র সাদিক খানের নতুন সহায়তার প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ফল কাঁঠাল

‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল’ জ্যৈষ্ঠ মাসে এ কথাটি আর কথার কথা থাকে না। গাছে কাঁঠাল দেখলে এ কথা সবাই বলতে পারেন। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। গাছের নিছ থেকে উপর পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।

এখানকার মানুষের অতি প্রিয় জাতীয় ফলটি তরকারি হিসেবেও যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুটকি ভর্তা সকলের অত্যন্ত প্রিয়। এছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ভেড়ামারা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাগান মালিক মো. আকছেদ প্রামানিক বলেন, কাঁঠাল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এর কোনও অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। কাঁঠাল যেমন জনপ্রিয়, কাঁঠালের বিচি ও খুব জনপ্রিয় খাবার। বিভিন্ন সবজির সঙ্গে কাঁঠালের বিচি মিশিয়ে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি, শুটকি মাছের সঙ্গে কাঁঠালের বিচি আর ডাঁটার তরকারি, কাঁঠালের বিচি ভর্তা এ রকম অসাধারণ সব স্বাদের খাবার তৈরিতে কাঁঠাল বিচি আলুর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় ফল হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত কাঁঠাল। এবার ভেড়ামারায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন। এটি শুধু পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলই নয়, অর্থকরী ফল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। আবার কাঁঠালকাঠের তৈরি আসবাবের কদর দেশজুড়ে। কাঁঠাল সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে বাংলাদেশের সর্বত্র পরিদৃষ্ট হয়।

তেমনিভাবে ভেড়ামারায় সর্বত্র ছেয়ে আছে কাঁঠাল। কোনো কোনো এলাকায় আগাম জাতের কাঁঠাল পাকতেও শুরু করেছে। কাঁঠালের ম-ম গন্ধে এখানকার চারপাশ এখন মুখরিত।

তবে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতকরণের উন্নত কোনো সুবিধা না থাকায় এ এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় এ ফল নিয়ে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁঠাল গাছগুলো ভরে গেছে ফলে ফলে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ফল ধরেছে। বছর দশেক আগেও আম-কাঁঠালের বাগান ছিল এ এলাকায়। এখন শুধু আমের বাগানই দেখা যায়। আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে কাঁঠালগাছ। তাই বাগানের সংখ্যাও হাতে গোনা।

এখন বাড়ির আঙিনা, রাস্তার ধারে, স্কুল-কলেজ চত্বরে প্রচুর কাঁঠালগাছের দেখা মেলে। কারণ হিসেবে অভাবের কারণে অনেকেই কাঁঠালগাছ বিক্রি দি”েছন। আসবাব প্র¯‘কারী ও ব্যবসায়ীরা নামমাত্র দাম দিয়ে কিনে ফায়দা লুটছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কাঁঠালগাছের মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, একসময় কাঁঠালের অনেক কদর ছিল। শ্রমিকদের মজুরি হিসেবে দেওয়া হতো। একটি কাঁঠালের বিনিময়ে একজন শ্রমিক তার গৃহের সারা দিন কাজ করে দিতেন। এখন কাঁঠাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়অয় এসব দৃশ্য দেখ যায় না।

কাঁঠাল ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ জানান, হাটবাজারগুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রতিবছর এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম থাকে। এ সময় পাইকার ও শ্রমিকশ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।

এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কাঁঠালের ফলন একটুকম। তাই দাম একটু বেশি। তাই অনেক দামে কাঁঠাল বাজারে বিক্রি হবে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

তবে ভেড়ামারার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ করা যায়, কিš‘ কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয় না। অথচ কাঁঠাল একটি অর্থকরী ফসল ও জাতীয় ফল। কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ও অবাধে কাঁঠালগাছ নিধন হওয়ায় উপজেলায় কাঁঠালবাগানের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এখন বাড়ির আঙিনা বা রাস্তার ধারে গিয়ে ঠেকেছে গাছ। সরকার একটু নজর দিলে অনেকেই কাঁঠাল-বাগানে উদ্বুদ্ধ হতো।

কাঁঠালের গুণাগুণ ও পুষ্টিগুণ নিয়ে পুষ্টিবিদ ডা. জান্নাতুন নেছা বলেন, কাঁঠাল একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধশালী ফল। একটি কাঁঠালে পৃথক কয়েক প্রকার ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে। পাকা কাঁঠাল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল খেলে আলাদা ভিটামিন পাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচিতে পর্যাপ্ত পুষ্টি রয়েছে। তা ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে কাঁঠাল হয়ে থাকে। প্রতিটি মৌসুমেই মানুষকে পর্যাপ্ত কাঁঠাল খাওয়া উচিত। কারণ কাঁঠাল একটি রোগ প্রতিরোধক খাবার বলেও পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম জানান, ভেড়ামারায় বাণিজ্যিক ভিত্তিক কাঁঠাল-বাগান নেই। বাড়ির আঙিনা ও রাস্তার দুই পাশে ২০০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালগাছ রয়েছে। এসব গাছে ১০ হাজার টন কাঁঠাল প্রতিবছর উৎপাদন হয়। উপজেলায় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন গাছমালিক ও ব্যবসায়ীরা।

 

 

তিনি আরও জানান, এলাকায় কোনো কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে আরও উপকৃত হবে।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় সংহতি জোরালো করার দাবী

error: Content is protected !!

কুষ্টিয়ায় গাছে গাছে ঝুলছে সুস্বাদু ফল কাঁঠাল

আপডেট টাইম : ০৪:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল’ জ্যৈষ্ঠ মাসে এ কথাটি আর কথার কথা থাকে না। গাছে কাঁঠাল দেখলে এ কথা সবাই বলতে পারেন। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকার প্রতিটি বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। গাছের নিছ থেকে উপর পর্যন্ত শোভা পাচ্ছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল।

এখানকার মানুষের অতি প্রিয় জাতীয় ফলটি তরকারি হিসেবেও যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচি দিয়ে শুটকি ভর্তা সকলের অত্যন্ত প্রিয়। এছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ভেড়ামারা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের বাগান মালিক মো. আকছেদ প্রামানিক বলেন, কাঁঠাল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এর কোনও অংশই পরিত্যক্ত থাকে না। কাঁঠাল যেমন জনপ্রিয়, কাঁঠালের বিচি ও খুব জনপ্রিয় খাবার। বিভিন্ন সবজির সঙ্গে কাঁঠালের বিচি মিশিয়ে ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি, শুটকি মাছের সঙ্গে কাঁঠালের বিচি আর ডাঁটার তরকারি, কাঁঠালের বিচি ভর্তা এ রকম অসাধারণ সব স্বাদের খাবার তৈরিতে কাঁঠাল বিচি আলুর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কাঁঠাল ব্যবসায়ীরা।

জাতীয় ফল হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত কাঁঠাল। এবার ভেড়ামারায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন। এটি শুধু পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলই নয়, অর্থকরী ফল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ। আবার কাঁঠালকাঠের তৈরি আসবাবের কদর দেশজুড়ে। কাঁঠাল সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল হিসেবে বাংলাদেশের সর্বত্র পরিদৃষ্ট হয়।

তেমনিভাবে ভেড়ামারায় সর্বত্র ছেয়ে আছে কাঁঠাল। কোনো কোনো এলাকায় আগাম জাতের কাঁঠাল পাকতেও শুরু করেছে। কাঁঠালের ম-ম গন্ধে এখানকার চারপাশ এখন মুখরিত।

তবে কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাতকরণের উন্নত কোনো সুবিধা না থাকায় এ এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় এ ফল নিয়ে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁঠাল গাছগুলো ভরে গেছে ফলে ফলে। প্রতিটি গাছে ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ফল ধরেছে। বছর দশেক আগেও আম-কাঁঠালের বাগান ছিল এ এলাকায়। এখন শুধু আমের বাগানই দেখা যায়। আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হচ্ছে কাঁঠালগাছ। তাই বাগানের সংখ্যাও হাতে গোনা।

এখন বাড়ির আঙিনা, রাস্তার ধারে, স্কুল-কলেজ চত্বরে প্রচুর কাঁঠালগাছের দেখা মেলে। কারণ হিসেবে অভাবের কারণে অনেকেই কাঁঠালগাছ বিক্রি দি”েছন। আসবাব প্র¯‘কারী ও ব্যবসায়ীরা নামমাত্র দাম দিয়ে কিনে ফায়দা লুটছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের কাঁঠালগাছের মালিক আমিনুল ইসলাম জানান, একসময় কাঁঠালের অনেক কদর ছিল। শ্রমিকদের মজুরি হিসেবে দেওয়া হতো। একটি কাঁঠালের বিনিময়ে একজন শ্রমিক তার গৃহের সারা দিন কাজ করে দিতেন। এখন কাঁঠাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়অয় এসব দৃশ্য দেখ যায় না।

কাঁঠাল ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ জানান, হাটবাজারগুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই প্রতিবছর এক থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেন। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম থাকে। এ সময় পাইকার ও শ্রমিকশ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।

এবার আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় কাঁঠালের ফলন একটুকম। তাই দাম একটু বেশি। তাই অনেক দামে কাঁঠাল বাজারে বিক্রি হবে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

তবে ভেড়ামারার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, অন্যান্য ফল ও গাছ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যত তৎপরতা লক্ষ করা যায়, কিš‘ কাঁঠাল নিয়ে তার সিকি ভাগও হয় না। অথচ কাঁঠাল একটি অর্থকরী ফসল ও জাতীয় ফল। কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ও অবাধে কাঁঠালগাছ নিধন হওয়ায় উপজেলায় কাঁঠালবাগানের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এখন বাড়ির আঙিনা বা রাস্তার ধারে গিয়ে ঠেকেছে গাছ। সরকার একটু নজর দিলে অনেকেই কাঁঠাল-বাগানে উদ্বুদ্ধ হতো।

কাঁঠালের গুণাগুণ ও পুষ্টিগুণ নিয়ে পুষ্টিবিদ ডা. জান্নাতুন নেছা বলেন, কাঁঠাল একটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধশালী ফল। একটি কাঁঠালে পৃথক কয়েক প্রকার ভিটামিন ও পুষ্টি রয়েছে। পাকা কাঁঠাল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল খেলে আলাদা ভিটামিন পাওয়া যায়। কাঁঠালের বিচিতে পর্যাপ্ত পুষ্টি রয়েছে। তা ছাড়া কোনো প্রকার কীটনাশক ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে কাঁঠাল হয়ে থাকে। প্রতিটি মৌসুমেই মানুষকে পর্যাপ্ত কাঁঠাল খাওয়া উচিত। কারণ কাঁঠাল একটি রোগ প্রতিরোধক খাবার বলেও পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম জানান, ভেড়ামারায় বাণিজ্যিক ভিত্তিক কাঁঠাল-বাগান নেই। বাড়ির আঙিনা ও রাস্তার দুই পাশে ২০০ হেক্টর জমিতে কাঁঠালগাছ রয়েছে। এসব গাছে ১০ হাজার টন কাঁঠাল প্রতিবছর উৎপাদন হয়। উপজেলায় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন গাছমালিক ও ব্যবসায়ীরা।

 

 

তিনি আরও জানান, এলাকায় কোনো কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে আরও উপকৃত হবে।