ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২ Logo বোয়ালমারী ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ১৬ দলীয় ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত Logo রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আরএমপির নানা উদ্যোগ Logo পাংশায় কুয়েতির অর্থায়নে এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo তিন গুণ হলো রাজশাহী ওয়াসার পানির দাম Logo লালপুরে বিদ্যালয়ের গ্রিল ভেঙে চুরি Logo রূপগঞ্জে বিপুল পরিমান গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি নাজমা গ্রেফতার Logo সংগীতশিল্পী আব্দুল জলিল আর নেই Logo কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র কমিটি বাতিলের দাবিতে অনশনসহ ৩ দিনের কর্মসূচি Logo নলছিটিতে ডাক্তারের সীল জালিয়াতি করার অভিযোগে আটক একজন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

টিভি লাইভে খুন হলেন ভারতের সাবেক রাজনীতিক

ভারতের সাবেক রাজনীতিক আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে টিভিতে লাইভ চলাকালীন গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাছ থেকে তাদের গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। শনিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ শহরে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

ভিডিওতে দেখা যায়, হাতকড়া থাকা অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তর প্রদেশের সাবেক সাংসদ আতিক ও তার ভাই আশরাফ। লাইভ চলাকালীন গুলি চালানো হয় তাদের ওপর। হাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঘটে এ ঘটনা।

ঘটনাটির তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

খুন, অপহরণসহ শতাধিক মামলার আসামি ছিলেন আতিক। ২০০৬ সালে উমেষ পাল নামক এক ব্যক্তিকে অপহরণের দায়ে ভাইসহ জেল খাটছিলেন তিনি। একটি হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এই উমেষ।

গুজরাটের সবরমাটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ মার্চ তাদেরকে প্রয়াগরাজ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আতিক আহমেদসহ আরও দুজনকে ২৮ মার্চ এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ঘটনার দায় স্বীকার করে সাংবাদিক সেজে থাকা ৩ ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করলে, তাদের হাজতে নেওয়া হয়। এক পুলিশ সদস্য এবং এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এ ঘটনায়।

মিথ্যা মামলায় তাকে ও তার পরিবারকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন আতিক। উত্তর প্রদেশের পুলিশ চক্রান্ত করে তাকে মেরে ফেলতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদনও করেছিলেন তিনি।

কিছুদিন আগে পুলিশের গুলিতে মারা যায় আতিক আহমেদের ছেলে। লাইভে আতিক আহমেদকে জিজ্ঞেস করা সর্বশেষ প্রশ্নটি ছিল- ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কি না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি, তাই যেতে পারিনি।’

এরপরই গুলিতে মারা যান তিনি।

পুলিশ ও মিডিয়ার সামনে থেকে কিভাবে একজনকে হত্যা করতে পারে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এলাকাটির অবস্থা এখন প্রায় লকডাউনের মতো।

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

ফুলবাড়ী দিনাজপুর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত, আহত ২

error: Content is protected !!

টিভি লাইভে খুন হলেন ভারতের সাবেক রাজনীতিক

আপডেট টাইম : ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ :

ভারতের সাবেক রাজনীতিক আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে টিভিতে লাইভ চলাকালীন গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাছ থেকে তাদের গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। শনিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ শহরে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

ভিডিওতে দেখা যায়, হাতকড়া থাকা অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তর প্রদেশের সাবেক সাংসদ আতিক ও তার ভাই আশরাফ। লাইভ চলাকালীন গুলি চালানো হয় তাদের ওপর। হাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঘটে এ ঘটনা।

ঘটনাটির তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

খুন, অপহরণসহ শতাধিক মামলার আসামি ছিলেন আতিক। ২০০৬ সালে উমেষ পাল নামক এক ব্যক্তিকে অপহরণের দায়ে ভাইসহ জেল খাটছিলেন তিনি। একটি হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এই উমেষ।

গুজরাটের সবরমাটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ মার্চ তাদেরকে প্রয়াগরাজ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আতিক আহমেদসহ আরও দুজনকে ২৮ মার্চ এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ঘটনার দায় স্বীকার করে সাংবাদিক সেজে থাকা ৩ ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করলে, তাদের হাজতে নেওয়া হয়। এক পুলিশ সদস্য এবং এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এ ঘটনায়।

মিথ্যা মামলায় তাকে ও তার পরিবারকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন আতিক। উত্তর প্রদেশের পুলিশ চক্রান্ত করে তাকে মেরে ফেলতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদনও করেছিলেন তিনি।

কিছুদিন আগে পুলিশের গুলিতে মারা যায় আতিক আহমেদের ছেলে। লাইভে আতিক আহমেদকে জিজ্ঞেস করা সর্বশেষ প্রশ্নটি ছিল- ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কি না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি, তাই যেতে পারিনি।’

এরপরই গুলিতে মারা যান তিনি।

পুলিশ ও মিডিয়ার সামনে থেকে কিভাবে একজনকে হত্যা করতে পারে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এলাকাটির অবস্থা এখন প্রায় লকডাউনের মতো।

 


প্রিন্ট