ভারতের সাবেক রাজনীতিক আতিক আহমেদ ও তার ভাইকে টিভিতে লাইভ চলাকালীন গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের হেফাজতে থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাছ থেকে তাদের গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। শনিবার রাতে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ শহরে এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
ভিডিওতে দেখা যায়, হাতকড়া থাকা অবস্থায় পুলিশ হেফাজতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন উত্তর প্রদেশের সাবেক সাংসদ আতিক ও তার ভাই আশরাফ। লাইভ চলাকালীন গুলি চালানো হয় তাদের ওপর। হাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পথে ঘটে এ ঘটনা।
ঘটনাটির তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
খুন, অপহরণসহ শতাধিক মামলার আসামি ছিলেন আতিক। ২০০৬ সালে উমেষ পাল নামক এক ব্যক্তিকে অপহরণের দায়ে ভাইসহ জেল খাটছিলেন তিনি। একটি হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এই উমেষ।
গুজরাটের সবরমাটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ মার্চ তাদেরকে প্রয়াগরাজ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। আতিক আহমেদসহ আরও দুজনকে ২৮ মার্চ এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
ঘটনার দায় স্বীকার করে সাংবাদিক সেজে থাকা ৩ ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করলে, তাদের হাজতে নেওয়া হয়। এক পুলিশ সদস্য এবং এক সাংবাদিক আহত হয়েছেন এ ঘটনায়।
মিথ্যা মামলায় তাকে ও তার পরিবারকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছিলেন আতিক। উত্তর প্রদেশের পুলিশ চক্রান্ত করে তাকে মেরে ফেলতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্টে জীবনের নিরাপত্তার জন্য আবেদনও করেছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে পুলিশের গুলিতে মারা যায় আতিক আহমেদের ছেলে। লাইভে আতিক আহমেদকে জিজ্ঞেস করা সর্বশেষ প্রশ্নটি ছিল- ছেলের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কি না।
জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের যেতে দেয়নি, তাই যেতে পারিনি।’
এরপরই গুলিতে মারা যান তিনি।
পুলিশ ও মিডিয়ার সামনে থেকে কিভাবে একজনকে হত্যা করতে পারে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এলাকাটির অবস্থা এখন প্রায় লকডাউনের মতো।
|
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ মুরসিদ আহমেদ সিকদার, মোবাইল : 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর, ই-মেইলঃ [email protected]
Copyright © August, 2020-2025 @ Daily Somoyer Protyasha