ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গোমস্তাপুরে প্রচন্ড তাপদাহে ঝরছে আমের গুটি

তীব্র খরায় তাপাদহে পুড়ছে গোমস্তাপুর। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়নি। টানা বৃষ্টিহীনতা আর খরায় উপজেলায় আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। একদিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আম গাছে মুকুলও নষ্ট হয়েছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে আম চাষি ও বাগান মালিকরা।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গোমস্তাপুরে প্রায় ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে – হাজার – টি ছোট বড় আম বাগান রয়েছে। ফজলি, আশিনা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, লখনা, হিমসাগরসহ প্রায় ২২ এর অধিক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে।


গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর সভাসহ ৮ টি ইউনিয়নে প্রায় প্রতি বাড়ীতেই রয়েছে আম গাছ ও আম বাগান। এছাড়া উপজেলা জুরেই রয়েছে উন্নত জাতের আম গাছ ও আম বাগান। বর্তমানে এসব এলাকায় আম গাছের নীচে দেখা যাচ্ছে ঝরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় আমের গুটি।

উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের আম চাষি মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন,আমাদের এলাকায় অনেক ছোট বড় আমের বাগানে খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এরপরও বৃষ্টি হচ্ছে না। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছগুলোতে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে । বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা বাগান মালিকরা।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুটি অনেক ঝরে গেছে। ফলে অনেক গাছে অর্ধেক আমও নেই। আম গাছে সেচ কীটনাশক মিশ্রণ স্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না। এসময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমার অনেক বাগান কিনা রয়েছে যদি এমন ভাবে আম ঝরতে থাকে আর বৃষ্টি না হয় তা হলে আমার অনেক টাকা লোকসান দিতে হবে।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, খরার জন্য আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তবে আমচাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি গাছের গোড়ায় সেচ দেওয়াসহ ছত্রাকনাশক ঔষুধ স্প্রে করার জন্য।আমাদের উপ-সহকারীরা আম রক্ষার্থে এক সপ্তাহ পর পর বাগান মালিক ও চাষিদের কাছে গিয়ে আমের গাছে বেশী পানি দিতে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছে এবং ছত্রাকনাশক ও বোরন স্প্রে করতে বলা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় আমের গুটিও ভাল রয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু জাতের নিদিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আম ঝড়ানোর জন্য এক ধরণের হরমোন নিশ্বরণ করে থাকে ফলে গুটি ঝড়ে যায়। তবে খরা ও প্রাকৃতিক কারণে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু আমের গুটি ঝড়ে এতে আম চাষিদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রাকৃতিক কোন বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

গোমস্তাপুরে প্রচন্ড তাপদাহে ঝরছে আমের গুটি

আপডেট টাইম : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
মোঃ আবদুস সালাম তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :

তীব্র খরায় তাপাদহে পুড়ছে গোমস্তাপুর। দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়নি। টানা বৃষ্টিহীনতা আর খরায় উপজেলায় আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। একদিকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আম গাছে মুকুলও নষ্ট হয়েছে ব্যাপক হারে। অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে আম চাষি ও বাগান মালিকরা।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় গোমস্তাপুরে প্রায় ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে – হাজার – টি ছোট বড় আম বাগান রয়েছে। ফজলি, আশিনা, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, লখনা, হিমসাগরসহ প্রায় ২২ এর অধিক জাতের আম চাষ হয়ে থাকে এ অঞ্চলে।


গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর সভাসহ ৮ টি ইউনিয়নে প্রায় প্রতি বাড়ীতেই রয়েছে আম গাছ ও আম বাগান। এছাড়া উপজেলা জুরেই রয়েছে উন্নত জাতের আম গাছ ও আম বাগান। বর্তমানে এসব এলাকায় আম গাছের নীচে দেখা যাচ্ছে ঝরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় আমের গুটি।

উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের আম চাষি মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেন,আমাদের এলাকায় অনেক ছোট বড় আমের বাগানে খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এরপরও বৃষ্টি হচ্ছে না। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছগুলোতে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে । বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বিপাকে পড়েছি আমরা বাগান মালিকরা।

বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমচাষি আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুটি অনেক ঝরে গেছে। ফলে অনেক গাছে অর্ধেক আমও নেই। আম গাছে সেচ কীটনাশক মিশ্রণ স্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না। এসময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। আমার অনেক বাগান কিনা রয়েছে যদি এমন ভাবে আম ঝরতে থাকে আর বৃষ্টি না হয় তা হলে আমার অনেক টাকা লোকসান দিতে হবে।

গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, খরার জন্য আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তবে আমচাষিদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি গাছের গোড়ায় সেচ দেওয়াসহ ছত্রাকনাশক ঔষুধ স্প্রে করার জন্য।আমাদের উপ-সহকারীরা আম রক্ষার্থে এক সপ্তাহ পর পর বাগান মালিক ও চাষিদের কাছে গিয়ে আমের গাছে বেশী পানি দিতে সব সময় পরামর্শ দিচ্ছে এবং ছত্রাকনাশক ও বোরন স্প্রে করতে বলা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, গত বছরের তুলনায় আমের গুটিও ভাল রয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও বৃষ্টি না হওয়ার কারণে আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে। তবে কিছু কিছু জাতের নিদিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট রয়েছে যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আম ঝড়ানোর জন্য এক ধরণের হরমোন নিশ্বরণ করে থাকে ফলে গুটি ঝড়ে যায়। তবে খরা ও প্রাকৃতিক কারণে স্বাভাবিক ভাবেই কিছু আমের গুটি ঝড়ে এতে আম চাষিদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রাকৃতিক কোন বড় ধরণের দূর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।


প্রিন্ট