ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এতিম খানা মাদরাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবি করার সময় নারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদলতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি নোয়া গাড়ি যার নম্বর ঢাকা- মেটো-ঢ-১৬-৩৪৫৭, ক্যামেরা,ছয়টি মোবাইল সেট, চার্জার, দৈনিক প্রথম বেলা,দৈনিক বিজয় বাংলা, দৈনিক নাগরিক ভাবনাসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার একাধিক ভুয়া আইডি কার্ড ও দেশের বিভিন্ন মাদরাসা এতিমখানায় বরাদ্দকৃত সরকারি সহায়তা তালিকা জব্দ করে পুলিশ।
আটকরা হলেন-রাকিবুল হায়দার, রেজাউল করিম খান, আরাফাত হোসেন, শামীম হোসেন, গাড়ী চালক আতাউর রহমান, জীবনী ও সোমাকে আটক করে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
তারা গাজিপুর বাসন থানা, নোয়াখালী, জামালপুর ও শেরপুরের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে উপজেলার ইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদ্রাসা ও এতিখানার মুহতামিম মাওলানা মো: শরফুদ্দিন মোল্যা বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার ইউসুবেরবাগ মাদ্রাসা ও এতিখানায় অনেক দুর্নীতি চলছে-এমন অভিযোগ করে বুধবার বিকেলেসমাজসেবা মন্ত্রণালয় থেকে অডিট করার নামেম্যাজিষ্ট্রেট ও সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয় মাদরাসার মুহতামিমের কাছে। তারা ‘অডিট করার বিল’ বাবদ নগদ ৩ হাজার টাকা নেয়। আরও ৪০ হাজার টাকা দাবি করে, যাহা দুই দিনের মধ্যে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলা হয়।
একই কায়দায় উপজেলার পৌরসভার বাকাইল এতিম খানা মাদরাসায় প্রবেশ করে মুহতামিম হাফেজ মো: ইদ্রিস আলীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকদের জানালে তাদের কাছে থাকা আইডি কার্ড যাচাই করে জানা যায় তারা অবৈধ অর্থ লাভের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে আলফাডাঙ্গায় এসে বিভিন্ন মাদ্রাসায় প্রতারণা করে টাকা দাবি করছে। পরে স্থানীয় লোকজন ও সাংবাদিকরা পুলিশকে সংবাদ দিয়ে রাতে থানায় সোপর্দ করে ।
রাতেইউসুবেরবাগ গোরস্থান মাদরাসা ও এতিখানার মুহতামিম মাওলানা মো: শরফুদ্দিন মোল্যা বাদি হয়ে নারীসহ ৭ জনকে আসামি করে চাঁদা বাজি মামলা করেন আলফাডাঙ্গা থানায়।
|
আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ওয়াহিদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এটি একটি প্রতারণা চক্র। এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন স্থানে গিযে সুকৌশলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়।
প্রিন্ট