ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি Logo দৌলতপুরে থানার সামনে স্বর্ণের দোকানে দূর্ধর্ষ চুরি Logo শ্রেণিকক্ষে পানিঃ দৌলতপুরে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা Logo সারাদেশে এনসিপির সাড়া দেখে বলা হচ্ছে নিবন্ধনের কাগজে ঝামেলা আছেঃ -হান্নান মাসউদ Logo মাদারিপুরে দু’টি বাস-পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৬ Logo প্রয়াত বিচারক মহম্মদ নুরুল হোদা মোল্লার মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার মজলিস Logo ইবি ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ বিক্ষোভ Logo গোমস্তাপুরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু Logo চরভদ্রাসনে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন ভ্যান-রিকশাচালকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ Logo বাগাতিপাড়ায় লোকালয়ে দেখা মিললো বিরল কালো মুখ হনুমানের
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

৩ বছরেও বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

আরিফুল ইসলাম জয়ঃ

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় তিন বছরে এক ইঞ্চি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড টিআই জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে অতিরিক্ত আরও দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

.

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদের ভাঙন ঠেকাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২০২২ সালের ১ মে ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা ব্যয়ে ৫শ’ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ (প্যাকেজ নম্বর-১০) নির্মাণ কাজ শুরু করে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় ধরা হয়েছিল ১৪ মাস, যা ২০২৩ সালের ২৯ জুন সমাপ্ত হওয়ায় কথা ছিল। বাঁধ নির্মাণ শুরুর পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এ পর্যন্ত এক ইঞ্চি বাঁধ নির্মিত হয়নি।

.

ভাঙন কবলিত ওই স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরিভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে। এরপর বাঁধ নির্মাণের জন্য কিছু সিসি ব্লক তৈরি করে ফেলে রাখে। পরে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠানটি লোকজন বাঁধ নির্মাণ শুরু না করে গা ঢাকা দেয়।

.

ভাঙন কবলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শুরু হলে দুধকুমার নদের তীরে বসবাস করা মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু এক বছরযাবৎ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ থাকায় তীরে বসবাস করা মানুষের মনে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

.

জেসমিন বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, কিছুদিন পরে বর্ষা আরম্ভ হবে। এর আগে বাঁধ নির্মাণ শেষ না হলে আমাদের আবারও নদী ভাঙনের শিকার হতে হবে। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নরসিংদী সিটি হাসপাতালে ১৮ ইঞ্চি ‘মব’ কাপড় পেটে রেখেই সেলাই, সংকটাপন্ন প্রসূতি

error: Content is protected !!

৩ বছরেও বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান

আপডেট টাইম : ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
আরিফুল ইসলাম জয়, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

আরিফুল ইসলাম জয়ঃ

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় তিন বছরে এক ইঞ্চি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি এসএ-এসআই প্রাইভেট লিমিটেড এন্ড টিআই জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে অতিরিক্ত আরও দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গা ঢাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

.

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদের ভাঙন ঠেকাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি বিগত ২০২২ সালের ১ মে ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণছাট গোপালপুর গ্রামে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা ব্যয়ে ৫শ’ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ (প্যাকেজ নম্বর-১০) নির্মাণ কাজ শুরু করে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় ধরা হয়েছিল ১৪ মাস, যা ২০২৩ সালের ২৯ জুন সমাপ্ত হওয়ায় কথা ছিল। বাঁধ নির্মাণ শুরুর পর প্রায় তিন বছর পার হলেও এ পর্যন্ত এক ইঞ্চি বাঁধ নির্মিত হয়নি।

.

ভাঙন কবলিত ওই স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরিভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে। এরপর বাঁধ নির্মাণের জন্য কিছু সিসি ব্লক তৈরি করে ফেলে রাখে। পরে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠানটি লোকজন বাঁধ নির্মাণ শুরু না করে গা ঢাকা দেয়।

.

ভাঙন কবলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শুরু হলে দুধকুমার নদের তীরে বসবাস করা মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু এক বছরযাবৎ বাঁধ নির্মাণ বন্ধ থাকায় তীরে বসবাস করা মানুষের মনে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

.

জেসমিন বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, কিছুদিন পরে বর্ষা আরম্ভ হবে। এর আগে বাঁধ নির্মাণ শেষ না হলে আমাদের আবারও নদী ভাঙনের শিকার হতে হবে। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।


প্রিন্ট