ঢাকা , শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত Logo এসএসসি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক Logo বোয়ালমারীতে বাড়তি ভাড়া আদায় করায় গোল্ডেন লাইন পরিবহনকে জরিমানা Logo নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ৩ মামলায় আ’লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে Logo নড়াইলে সেনা অভিযানে দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক ৬ Logo মুকসুদপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এস এস সি পরীক্ষা Logo ফরিদপুরে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী বাধন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo প্রশ্ন পত্র ফাঁসে জড়িত শিক্ষক সালামের খুঁটির জোর কোথায় ? Logo পাটের জিনোম আবিষ্কারক মাকসুদুল আলমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা Logo থানায় মামলা নিতে ওসির অনীহা, পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় পরিবারের আর্তনাদ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ফলো আপ নিউজ

খুলনার নিখোঁজ রহিমা বেগমকে বোয়ালমারী থেকে উদ্ধারঃ আটক ৩

-ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস বিশ্বাসের এই বাড়ী থেকে শনিবার রাতে রহিমা বেগমকে (ইনসেটে ছবি) পুলিশ উদ্ধার করে।

নিখোঁজের ২৯ দিন পর আলোচিত রহিমা বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন। বোয়ালমারীর যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক সত্তর বছর বয়সী কুদ্দুস মোল্যা ওরফে কুদ্দুস বিশ্বাস ২৫/৩০ বছর আগে খুলনার মিরেরচর এলাকায় অবস্থিত সোনালী জুট মিলে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কুদ্দুস মোল্যার ভাগ্নে জয়নাল খান (৩৫) বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রহিমা বেগম নামের ওই মহিলা মামার (কুদ্দুস মোল্যা) বাড়িতে এসে আশ্রয় চান। এরপর গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক ও ইউটিউবে ওই মহিলার ছবিসহ নিখোঁজের একটি সংবাদ দেখি। বিষয়টি মামাতো ভাই আল আমিনকে (কুদ্দুস মোল্যার ছোট ছেলে) জানালে সে রহিমা বেগমের বড় ছেলে মিরাজের মুঠোফোনে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন ধরেন তার স্ত্রী।  তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে আর ফোন দিতে নিষেধ করেন। পরে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনকে জানাই। তিনি খুলনার এক পুলিশ কমিশনারকে জানালে শনিবার রাতে খুলনা থেকে একদল পুলিশ এসে রহিমা বেগমকে নিয়ে যায়।
জয়নাল খান আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুদ্দুস মোল্যার স্ত্রী হীরা বেগম (৬০),  তার ছোট ছেলে আল আমিন (২৫), কুদ্দুস মোল্যার ভাই আবুল কালামের স্ত্রী রেহেলা বেগমকে (৪৫) আটক করে তাদের সাথে খুলনা নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সদরপুরে নববর্ষ উদযাপন প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

error: Content is protected !!

ফলো আপ নিউজ

খুলনার নিখোঁজ রহিমা বেগমকে বোয়ালমারী থেকে উদ্ধারঃ আটক ৩

আপডেট টাইম : ১১:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
দীপঙ্কর পোদ্দার অপু, বিশেষ প্রতিনিধি, বোয়ালমারী, ফরিদপুর :
নিখোঁজের ২৯ দিন পর আলোচিত রহিমা বেগমকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রাম থেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনার দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়েছিলেন। বোয়ালমারীর যে বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিক সত্তর বছর বয়সী কুদ্দুস মোল্যা ওরফে কুদ্দুস বিশ্বাস ২৫/৩০ বছর আগে খুলনার মিরেরচর এলাকায় অবস্থিত সোনালী জুট মিলে কাজ করতেন। তখন রহিমা বেগমের বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুদ্দুস মোল্যার পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে খুলনায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কুদ্দুস মোল্যার ভাগ্নে জয়নাল খান (৩৫) বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রহিমা বেগম নামের ওই মহিলা মামার (কুদ্দুস মোল্যা) বাড়িতে এসে আশ্রয় চান। এরপর গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক ও ইউটিউবে ওই মহিলার ছবিসহ নিখোঁজের একটি সংবাদ দেখি। বিষয়টি মামাতো ভাই আল আমিনকে (কুদ্দুস মোল্যার ছোট ছেলে) জানালে সে রহিমা বেগমের বড় ছেলে মিরাজের মুঠোফোনে ফোন দেয়। কিন্তু ফোন ধরেন তার স্ত্রী।  তিনি বিরক্ত প্রকাশ করেন এবং এ ব্যাপারে আর ফোন দিতে নিষেধ করেন। পরে বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনকে জানাই। তিনি খুলনার এক পুলিশ কমিশনারকে জানালে শনিবার রাতে খুলনা থেকে একদল পুলিশ এসে রহিমা বেগমকে নিয়ে যায়।
জয়নাল খান আরো জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে কুদ্দুস মোল্যার স্ত্রী হীরা বেগম (৬০),  তার ছোট ছেলে আল আমিন (২৫), কুদ্দুস মোল্যার ভাই আবুল কালামের স্ত্রী রেহেলা বেগমকে (৪৫) আটক করে তাদের সাথে খুলনা নিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তাঁর সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাঁদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তাঁরা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরদিন তাঁর মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানেরা।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল ওহাব বলেন, খুলনা মহানগর পুলিশের এডিসি আবদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বোয়ালমারী সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।

প্রিন্ট