দৌলতপুরে দায়ের করা ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় সাইদুর রহমান (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামি অনুপস্থিতি ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত সাইদুর জেলার দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মকলেছ আলীর ছেলে। একই মামলার এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি ওমর আলী ও মনোয়ারা খাতুনকে বেকসুর দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ০৯ আগস্ট দুপুরে ভুসি মালের ব্যবসায়ী ইমারুল ইসলাম তার পাওনা টাকা চান সাইদুর রহমানের কাছে। সে সময় সাইদুর ক্ষিপ্ত হয়ে ইমারুলের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করে জখম করে। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে নয়দিন থাকার পর অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে রামেকে নেওয়া পথে ইমারুলের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত ইমারুলের স্ত্রী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় তিন জনের নামে হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে চলতি বছরের (২০২১) ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষে আদালত এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, হত্যা মামলায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার আসামি সাইদুরের অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডের এ রায় দেন আদালত।
প্রিন্ট