ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর দিতে পেরে আমি গর্বিত। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। আমার পিতাও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিল।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৭১-এ বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবারের লোকজন না খেয়ে ধূকে ধূকে মরছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করে সম্মানী ভাতা চালু ও পূর্নবাসনের জন্য ঘর দিচ্ছে। আগামীতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকলে মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগীতা করবেন।
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা দরবার হলে অসচ্চল মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্নবাসনের ঘরের দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারেক মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান প্রমুখ।
এর পূর্বে সকালে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের আলী হোসেনের ডাঙ্গী গ্রামের আঃ লতিফ মাস্টারের বাড়িতে এক উঠান বৈঠকে তিনি বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আঃ লতিফ মাস্টারকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। তাকে আপনারা সব সময় কাছে পাবেন ও অত্র এলাকার জনগণের উন্নয়ন করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে এক নেতা নৌকা বিক্রি করে নৌকায় ভোট চাইবে। তাকে বিগত করোনায় ২বছর কাছে পান নাই। ৩৬ বছরেও জনগনের উন্নয়ন করতে পারেনি। জনগণের উন্নয়ন ও মূল্যায়ন করেনি। বিগত দিনে জনগণকে বিক্রি করেছে। আপনারা আমাকে এমপি নির্বাচিত করে উন্নয়ন ও মূল্যায়ন পেয়েছেন। আগামীতে উন্নয়ন ও মূল্যায়ন পেতে হলে চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে আঃ লতিফ মাস্টারকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার আহবান জানান। পরে তিনি আলী হোসেনের ডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জয় বাংলা হাট পর্যন্ত রাস্তা পরিদর্শন করে কার্পেটিং করার আস্বাস দেন।
প্রিন্ট