দীর্ঘ করোনা মহামারীর সংকোট কিঞ্চিত কাটিয়ে নব সাজে সেঝেছে গ্রাম বাংলার প্রতিটি পূজা মন্ডপ। ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পূজা মন্ডপগুলি তারই প্রবাহে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে ঢাকের অনবদ্য হুংকার আর শাকের সুরের তালে তালে। হিন্দু সনাতনীদের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান দূর্গা পূজায় প্রানের স্পন্দন ফিরে পেয়েছে পাড়ায়, মহল্লায় অথবা বাড়িতে বাড়িতে।
জানা গেছে, অত্যন্ত শান্তি পূর্ণ ভাবে শুরু হয়েছে দূর্গোৎবের সকল আয়োজন। সরকারী প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের আন্তরিক সহযোগিতা উৎসবকে আরও গতিময় করে তুলেছে। এবার উত্তর বোয়ালমারীর সাতৈর ইউনিয়নে ১৬টি মন্ডপে পালিত হচ্ছে দূগোৎসব।
বোয়ালমারী পৌর সদরের নাট মন্দিরের বৃহত্তর পূজা উৎসবের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট সুবাস সাহার বড় নগরের বাড়িতে তাদের পারিবারিক পূজা মন্ডপে আয়োজিত দূর্গোৎসব।
এ ছাড়া কেরশাইলের পাল পাড়ায় বিপ্লব পালের বাড়ি, সাতৈর বাজার, কাদিরদী বাজার, ঘোষপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ, ময়না ইউনিয়নের খাইলপাড়ায় পার্থ নন্দীর বাড়িসহ প্রতিটি পূজা মন্ডপে সাড়ম্বরে চলছে চলছে এই উৎসব। গত ১১ অক্টোবর ২০২১ খ্রি: সোমবার ষষ্টি ফূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দারদীয় দূর্গা পূজার এই মা উৎসব।
শেষ হবে শুক্রবার দশমীতে দূর্গা মায়ের বিসর্জণের মাধ্যমে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের ন্যয় এবারও বিশিষ্ট্য ধর্মানারাগী, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতা সুবাস সাহা অষ্টমীতে উপস্থিত ভক্ত অফনুরাগী এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন এবং হত দরিদ্রদের মাঝে অন্নের পাশাপাশি বস্ত্রেরও ব্যস্থা করবেন।
এই সময় তিনি হাজার হাজার হত-দরিদ্রের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি-ধুতি-কম্বলসহ অন্যান্য বস্ত্র বিতরণ করবেন। এ ছাড়া ঘোষপুর ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অপূর্ব সাহা নবমীতে শোভা যাত্রা করবেন এবং দরিদ্রদের মাঝে শাড়ি লুঙ্গিসহ অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে।
প্রিন্ট