পূর্ব বিরোধের জেরে মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোরে আলফাডাঙ্গায় সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে খলিল সরদারের বাড়ি ও হুমাউন সরদারের বাড়ির লোকজনের মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে বিরোধ চলছিল। ৪ অক্টোবর খলিল সরদারের ছেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত সরদার ও একই গ্রামের হুমাউন সরদারের ছেলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবিদ সরদারের মধ্যে মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষ থেকে ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের লোকজনকে সংঘাত না করার জন্য অনুরোধ করেন।
গতকাল রোববার ভোর ৬ টায় হুমাউন সরদারের পক্ষের প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল খলিল সরদারের বাড়িতে প্রবেষ করে বসতবাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে হুমাউন সরদারবলেন। খলিল সরদারের স্ত্রী তার পক্ষের লোকজন নিয়ে নিজ বাড়ি ভাংচুর করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। কিছু দিন আগে আমাকে তাহারা মেরে আহত করেছিল। এ ঘটনায় দু’পক্ষের লোকজন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
ওসি মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসচ্ছে। ৪ অক্টোবর বাচ্চাদের মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সংঘাত না করার জন্য অনুরোধ করেন। রোববার ভোরে সংঘর্ষের খবর সুনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থলে থেকে চারজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রিন্ট