নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিশাল এই চুল্লিতে আগামীকাল স্থাপন করা হবে এই ভেসেল।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লিতে স্থাপন করা হচ্ছে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। আগামীকাল রবিবার এটি স্থাপনের মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের (আরএনপিপি) নির্মাণকাজ আরো একধাপ এগোবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করবেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রেসার ভেসেল স্থাপন অনুষ্ঠানে রূপপুর প্রকল্প এলাকা থেকে যোগ দেবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, নির্মাণকাজের প্রধান ঠিকাদার রোসাটমের অন্যতম প্রধান নির্বাহী এলেক্সে লিখাচেভ, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএসইর কর্মকর্তারাসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা।
নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃিপণ্ড। এটি আগামীকাল চুল্লিতে স্থাপন করা হবে। এ কাজে অংশ নেবেন রাশিয়ার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়া থেকে রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি গত বছর অক্টোবরে রূপপুর প্রকল্পে আনা হয়। ভেসেলটি চুল্লিতে স্থাপন করতে এক বছর ধরে অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়।
আণবিক শক্তি কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রূপপুরে ২০০ মেগাওয়াটের একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর প্রকল্পটি থেমে যায়। পরে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুসারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দেশে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির (ক্লিন এনার্জি) মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে, যা থেকে দীর্ঘ মেয়াদে পাওয়া যাবে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, রূপপুর প্রকল্পটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। ঋণ হিসেবে রাশিয়া দিচ্ছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাকিটা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রিন্ট