খান মমিনুল ইসলাম নান্নু’র আজ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ফরিদপুেরর আলফাডাঙ্গা উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজ জুম্মাবাদ মিলাদ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সাইফুর রহমান সাইফার,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আকরামুজ্জামান কুয়েতী আকরাম, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনায়েত হোসেন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সেকেন্দার আলম প্রমুখ।
দোয়া পরিচালনা করেন,উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মওলানা কুতুব উদ্দিন।
এছাড়াও আজ একই সময় তার নিজ গ্রামের কয়েকটি মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপ কমিটির সাবেক সদস্য, তিতাস গ্যাস কোম্পানীর সাবেক পরিচালক খান মঈনুল ইসলাম মোস্তাক।
“খান মমিনুল ইসলাম নান্নু “১৯৪৫ সালে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ শিক্ষক, শিক্ষা সংগঠক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ী ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ষাটের দশকে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক (১৯৬৩-৬৪) থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হন এবং “মোনায়েম খান কনভেনশন মামলার ” এক নম্বর আসামি হিসেবে কারাভোগ করেন এবং আজীবনের জন্য তৎকালীন সিএসপি পরীক্ষা অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী হওয়ায় পঁচাত্তর-পরবর্তী জিয়াউর রহমান, এরশাদ সরকার এবং খালেদা জিয়ার বিএনপি-জামাত জোটের শাসনামলে চাকরি জীবনে তাকে বহু হয়রানির শিকার হতে হয়েছে এবং প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে অনেকবার তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি সরকারি এবং বহুজাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত ছিলেন।
প্রিন্ট