রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম লিয়াকত আলী খান (৬৫) ইন্তেকাল করেছেন। উপজেলার মৌরাট ইউপির পূর্ব বাগদুলী গ্রামের নিজ বাড়িতে গত সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এবিএম লিয়াকত আলী খান বেশ কিছুদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
জানা যায়, এবিএম লিয়াকত আলী খান পাংশা উপজেলা বিআরডিবির ৭বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া পাংশার মৌরাট ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি, ধুলিয়াট অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি, পাংশা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও ভেন্ডার সমিতির উপদেষ্টাসহ এলাকায় শিক্ষা, সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার ১৪সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার সময় পূর্ব বাগদুলী নিজ গ্রামের বাড়িতে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবর স্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের সহোদর ভাই মাওলানা মোঃ খলিলুর রহমান। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পাংশা সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদরাসার শিক্ষক মোহাম্মদ হেদায়েত হোসেন।
জানাজার নামাজে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ গ্রহণ করে। স্বজন ও শুভাকাঙ্খীরা অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় তাকে চিরবিদায় জানায়। মৃত্যুকালে তিনি ছয় ভাই, পাঁচ বোন, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে, এবিএম লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুতে বিআরডিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ মরহুম এবিএম লিয়াকত আলী খানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, এবিএম লিয়াকত আলী খান সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি ছিলেন। ভালো মানুষ ছিলেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
প্রিন্ট