রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির চরপাড়া হামিউস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসার মেহরাব খান (১২) নামের এক শিশু ছাত্র গলায় পাগড়ী পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গত রবিবার ১২ই সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর চরপাড়া হামিউস সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদরাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। শিশু মেহরাব ওই মাদরাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র। সে মৌরাট ইউপির চৌবাড়িয়া গ্রামের তফজেল খান অরফে রব্বেল খানের ছেলে। তফজেল খান সৌদি প্রবাসী।
এ ঘটনায় মেহরাবের চাচা রেজাউল খান বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় ইউডি মামলা দায়ের করেছেন। ইউডি মামলা নং ২৩। রবিবার রাতেই পাংশা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করা হয়। জানা যায়, সোমবার ১৩ই সেপ্টেম্বর পোস্টমর্টেম শেষে মৃতদেহ চৌবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। এ সময় স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
পরে আসরের নামাজ শেষে বাগদুলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামাজ শেষে বাগদুলী গোরস্থানে মাদ্রাসা ছাত্র শিশু মেহরাবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার মহতামীম হাফেজ মাওলানা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, ৮/১০ দিন হলো শিশু মেহরাব তাদের মাদ্রাসার মক্তব বিভাগে ভর্তি হয়। মাদরাসার নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের আগে ও পরে ছাত্রদের নিয়ে ওস্তাদরা দোয়ার আমলে বসেন।
অন্যান্য দিনেরমত সন্ধ্যায় মেহরাবের দাদা তার জন্য খাবার নিয়ে আসেন। মেহরাবকে ডাকাডাকি করে না পেয়ে এক ছাত্র ঘরের মধ্যে ঢুকলে তাকে গলায় পাগড়ী পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে সোমবার সন্ধ্যায় পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, ঘটনার মোটিভ উদঘাটনে তথ্যানুসন্ধ্যান চলছে। থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রিন্ট