মোঃ নাঈম ইসলামঃ
আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে রংপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পুলিশ লাইন্স স্কুল ও জিলা স্কুলের মধ্যকার আন্তঃস্কুল ফুটবল ম্যাচ ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খেলার শেষ মুহূর্তে রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে মাঠে উপস্থিত উভয় স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়।
চোখের পলকে দুপক্ষের শতাধিক শিক্ষার্থী ও কয়েকজন শিক্ষক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ১৫-২০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষকও রয়েছেন। আহতদের স্থানীয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খেলা দেখতে আসা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, প্রথমে শিক্ষার্থীরা মাঠের বাইরে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে উভয় দলের সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করে এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্টেডিয়াম এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যাদের দায় পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জিলা স্কুলের এক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, “রেফারির পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। আমরা চেষ্টা করেছি থামাতে, কিন্তু হঠাৎ করেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়।”
অন্যদিকে পুলিশ লাইন্স স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “এটা শুধুই খেলাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা। আমরা চাই প্রশাসন ও অভিভাবকরা একসাথে বসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মেটান।”
স্থানীয়রা মনে করছেন, ক্রীড়া চর্চার জায়গা যদি সংঘর্ষের মাধ্যমে অশান্তিতে পরিণত হয়, তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়ে গেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট

মধুখালীতে সাংবাদিক সাগর চক্রবর্তীর মোটরসাইকেল চুরি 
মোঃ নাঈম ইসলাম, রংপুর সদর উপজেলা (রংপুর) প্রতিনিধি 





















