ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ Logo কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে ওয়ান শুটারগান উদ্ধার Logo লালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo মধুখালীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক কারবারী আটক,মাদক ধ্বংস Logo নাটোরে ১২ বছরের শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo ফরিদপুরে মধুমতী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপে এক যাত্রী আহত Logo বেনাপোলের পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সভা Logo বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের তীব্রতা, নিঃশ্ব মধুমতি পাড়ের শতশত পরিবার Logo জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ : সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা Logo গ্রাম আদালতের মাসিক জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

 

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন কলমাইদ গ্রামে এক বিবাহিত নারীর ব্যক্তিগত ছবি গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ২৭ এপ্রিল রবিবার ২০২৫ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলী আদালত, নাগরপুর থানায় দায়ের করা হয়।

.

বাদী মোছাঃ পারুল আক্তার (৩০), পিতা-মাতার বাড়ি কলমাইদ গ্রামে, বর্তমানে স্বামী কহিনুর ইসলামের অনুপস্থিতিতে একা বসবাস করছেন। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে কর্মরত।

.

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১নং আসামী মোঃ বাতেন (২৬) পূর্বপরিচয়ের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বাদীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। বাদী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, একদিন গোপনে বাদীর গোসলের সময় নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময় বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করেন। প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেন। এরপর আরও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে, তা না দিলে অশ্লীল ছবি স্বামীর ইমো আইডিতে পাঠানোর হুমকি দেন।

.

পরবর্তীতে মোঃ বাতেন তার ব্যবহৃত বিভিন্ন ইমো আইডি—”মনটা ভালা নাই”, “আমার পাখী”, “আগুন” এবং “md.baten”—ব্যবহার করে উক্ত ছবি বাদীর স্বামীর ইমো অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

.

বাদী এই বিষয়ে ২নং, ৩নং ও ৪নং আসামীদের (যথাক্রমে মোঃ আফাজ উদ্দিন, মোছাঃ উজালা বেগম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে সোহেল) অবহিত করলে তারা কোনো সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে বাদী চরম মানসিক দুরবস্থায় পড়েছেন বলে জানান।

.

এ ঘটনায় পাঁচজন সাক্ষীর নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনে আরও সাক্ষী উপস্থিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন বাদী। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন এবং আদালতের পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র ৩১ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ

error: Content is protected !!

নাগরপুরে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মামলা, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আপডেট টাইম : ১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
বিশেষ প্রতিনিধি :

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

 

টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন কলমাইদ গ্রামে এক বিবাহিত নারীর ব্যক্তিগত ছবি গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ২৭ এপ্রিল রবিবার ২০২৫ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলী আদালত, নাগরপুর থানায় দায়ের করা হয়।

.

বাদী মোছাঃ পারুল আক্তার (৩০), পিতা-মাতার বাড়ি কলমাইদ গ্রামে, বর্তমানে স্বামী কহিনুর ইসলামের অনুপস্থিতিতে একা বসবাস করছেন। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে কর্মরত।

.

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১নং আসামী মোঃ বাতেন (২৬) পূর্বপরিচয়ের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বাদীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। বাদী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, একদিন গোপনে বাদীর গোসলের সময় নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময় বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করেন। প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেন। এরপর আরও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে, তা না দিলে অশ্লীল ছবি স্বামীর ইমো আইডিতে পাঠানোর হুমকি দেন।

.

পরবর্তীতে মোঃ বাতেন তার ব্যবহৃত বিভিন্ন ইমো আইডি—”মনটা ভালা নাই”, “আমার পাখী”, “আগুন” এবং “md.baten”—ব্যবহার করে উক্ত ছবি বাদীর স্বামীর ইমো অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

.

বাদী এই বিষয়ে ২নং, ৩নং ও ৪নং আসামীদের (যথাক্রমে মোঃ আফাজ উদ্দিন, মোছাঃ উজালা বেগম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে সোহেল) অবহিত করলে তারা কোনো সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে বাদী চরম মানসিক দুরবস্থায় পড়েছেন বলে জানান।

.

এ ঘটনায় পাঁচজন সাক্ষীর নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনে আরও সাক্ষী উপস্থিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন বাদী। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন এবং আদালতের পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।


প্রিন্ট