বিশেষ প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানাধীন কলমাইদ গ্রামে এক বিবাহিত নারীর ব্যক্তিগত ছবি গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনের বিরুদ্ধে ২৭ এপ্রিল রবিবার ২০২৫ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি আমলী আদালত, নাগরপুর থানায় দায়ের করা হয়।
.
বাদী মোছাঃ পারুল আক্তার (৩০), পিতা-মাতার বাড়ি কলমাইদ গ্রামে, বর্তমানে স্বামী কহিনুর ইসলামের অনুপস্থিতিতে একা বসবাস করছেন। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে কর্মরত।
.
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১নং আসামী মোঃ বাতেন (২৬) পূর্বপরিচয়ের সুযোগ নিয়ে প্রায়ই বাদীর বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন। বাদী তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, একদিন গোপনে বাদীর গোসলের সময় নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময় বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ দাবি করেন। প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা আদায় করেন। এরপর আরও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে, তা না দিলে অশ্লীল ছবি স্বামীর ইমো আইডিতে পাঠানোর হুমকি দেন।
.
পরবর্তীতে মোঃ বাতেন তার ব্যবহৃত বিভিন্ন ইমো আইডি—"মনটা ভালা নাই", "আমার পাখী", "আগুন" এবং "md.baten"—ব্যবহার করে উক্ত ছবি বাদীর স্বামীর ইমো অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
.
বাদী এই বিষয়ে ২নং, ৩নং ও ৪নং আসামীদের (যথাক্রমে মোঃ আফাজ উদ্দিন, মোছাঃ উজালা বেগম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম ওরফে সোহেল) অবহিত করলে তারা কোনো সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং আরও টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে বাদী চরম মানসিক দুরবস্থায় পড়েছেন বলে জানান।
.
এ ঘটনায় পাঁচজন সাক্ষীর নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এবং প্রয়োজনে আরও সাক্ষী উপস্থিত করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন বাদী। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন এবং আদালতের পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এ. এস.এম
মুরসিদ (লিটু সিকদার)। মোবাইল: 01728 311111
ঢাকা অফিসঃ হোল্ডিং-১৩, লাইন-৬, রোড- ১২, ব্লক-বি, মিরপুর-১১, ঢাকা-১২১৬।
ফরিদপুর অফিসঃ মুজিব সড়ক, ফরিদপুর। মোবাইলঃ ০১৭১১ ৯৩৯৪৪৫