ঢাকা , সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’ Logo ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু Logo সালথায় যুবদল নেতার উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo মাদক সেবীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিক পেটালেন যুবদল নেতা গেন্দা Logo সদরপুরে মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় আত্মহত্যা Logo দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ২০২৫ নামাজের জামাত উপলক্ষে ব্রিফিং Logo ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কীটনাশক পান করে গৃহবধুর আত্মহত্যা Logo পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা শরীফ উদ্দিন Logo বোয়ালমারীতে ১০ গ্রামের বাসিন্দারা আজ উদযাপন করলেন ঈদুল ফিতর Logo মানবিক হাতিয়া সংগঠনের উদ্যোগে মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ইউপি চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিল প্রতিপক্ষ

শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, জেলা প্রতিনিধি পাবনাঃ

 

পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল শিক্ষক আকতার হোসেনকে (৪৫) পিটিয়ে পা ভেঙে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চর সেনগ্রাম এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান আকতার আওয়ামী লীগ সমর্থক। তবে দলীয় কোনো পদে নেই। অপরদিকে হামলাকারীরা বিএনপি সমর্থক।

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে এলাকার জাফর সরদার, জিন্নাহ সরদার, মুনজিল হোসেনদের সাথে আমার বিরোধ চলছিল। তারা মাঝে মধ্যে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দেওয়ায় ও স্কিমের অংশ না নেয়ায় তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। রোববার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাজারে যাবার সময় পথিমধ্যে জাফর গং হামলা চালিয়ে আমার ডান পা ভেঙে দিয়েছে। শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।’

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাফর সরদার বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। শুনেছি পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান হামলার শিকার হয়েছেন। স্কিম নিয়ে কোন ঘটনা না। আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেই, তা নাহলে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতো।’

 

আরেক অভিযুক্ত জিন্নাহ সরদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে মারপিটের সাথে আমি জড়িত নই। যেটা শুনেছি মাস ছয়েক আগে ওই চেয়ারম্যান দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার শালিস করে দেন। সেই শালিসে জরিমানার টাকা চেয়ারম্যান নিয়েছিলেন। কিন্তু আহত মহিলাকে কোনো টাকা দেননি। সেই জন্য এলাকার লোকজন তাকে ধরে মারপিট করেছে। আমি শোনার সাথে সাথে সেখানে গিয়ে লোকজনের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করি।’

 

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তবে রোববার রাত দশটা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ ৩০শে মার্চ লালপুরের ঐতিহাসিক ‘ময়না যুদ্ধ দিবস’

error: Content is protected !!

ইউপি চেয়ারম্যানকে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দিল প্রতিপক্ষ

আপডেট টাইম : ১১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, জেলা প্রতিনিধি পাবনা :

শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, জেলা প্রতিনিধি পাবনাঃ

 

পূর্ব শত্রুতার জেরে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল শিক্ষক আকতার হোসেনকে (৪৫) পিটিয়ে পা ভেঙে ফেলেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মূমুর্ষু অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার বিলচলন ইউনিয়নের চর সেনগ্রাম এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান আকতার আওয়ামী লীগ সমর্থক। তবে দলীয় কোনো পদে নেই। অপরদিকে হামলাকারীরা বিএনপি সমর্থক।

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন অভিযোগ করেন, ‘ইরি স্কিম নিয়ে এলাকার জাফর সরদার, জিন্নাহ সরদার, মুনজিল হোসেনদের সাথে আমার বিরোধ চলছিল। তারা মাঝে মধ্যে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দেওয়ায় ও স্কিমের অংশ না নেয়ায় তারা আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। রোববার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলযোগে বাজারে যাবার সময় পথিমধ্যে জাফর গং হামলা চালিয়ে আমার ডান পা ভেঙে দিয়েছে। শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।’

 

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাফর সরদার বলেন, ‘আমি ঘটনার সময় ছিলাম না। শুনেছি পূর্বের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান হামলার শিকার হয়েছেন। স্কিম নিয়ে কোন ঘটনা না। আমি শোনার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেই, তা নাহলে গণপিটুনির ঘটনা ঘটতো।’

 

আরেক অভিযুক্ত জিন্নাহ সরদার বলেন, ‘চেয়ারম্যানকে মারপিটের সাথে আমি জড়িত নই। যেটা শুনেছি মাস ছয়েক আগে ওই চেয়ারম্যান দুর্ঘটনায় আহত এক মহিলার শালিস করে দেন। সেই শালিসে জরিমানার টাকা চেয়ারম্যান নিয়েছিলেন। কিন্তু আহত মহিলাকে কোনো টাকা দেননি। সেই জন্য এলাকার লোকজন তাকে ধরে মারপিট করেছে। আমি শোনার সাথে সাথে সেখানে গিয়ে লোকজনের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করি।’

 

এ বিষয়ে চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। তবে রোববার রাত দশটা পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


প্রিন্ট