ইস্রাফিল হোসেন ইমনঃ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয় । হামলাকারীরা তাঁর ছোট ভাইয়ের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসীর জড়ো হলে দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই নেতা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব লাল চাঁদ।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১টার দিকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লাল চাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁর ছোট ভাই ও যুবদলের কর্মী সুবেল আহম্মেদের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর তারা বাড়ির দিকে লক্ষ্য করে ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সুবেল আহম্মেদ জানান , রাজনীতিকেন্দ্রিক প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। তারা আমার বড় ভাইয়ের ঘরে ভাঙচুর করেছে এবং আমার ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। গুলিও ছোড়ে, বোমাও ফাটায় চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সম্ভবত এটাই একমাত্র ইউনিয়ন, যেখানে ৫ আগস্টের পরও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। তাদের সঙ্গে বিএনপির একটি গ্রুপের কিছু লোক মিলে হামলা চালিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন, কুঁচিয়ামোড়া এলাকার রতন হাজি ও আলমগীর জড়িত আছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবনের মুঠোফোনে কল কার হলে তিনি যা জানান, একটি বাড়িতে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। আমাকে কেউ যদি দোষী সাব্যস্ত করে, সেই ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসাবে এবং মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমার প্রতিপক্ষের কথার মতে বলতে পারে। আমি চেয়ারম্যান হিসাবে ন্যায় নিষ্ঠার সাথে বিচার সালিশ করে থাকি। আমার শত্রু পক্ষ থাকতেই পারে। আমার ক্লিন ইমেজ নষ্ট করার জন্য এলাকার কিছু লোক পিছু নিয়েছে। আমার পিতা চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি অন্যায় কে কখনো প্রশ্রয় দেননি। আমি ও সব সময় অন্যায়ের বিপক্ষে।
কুঁচিয়ামোড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, একটি ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছিল। ঘরটি পুড়ে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার একাধিক নাম উল্লেখ করেছেন, সেসব বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রিন্ট