ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo তানোর বিএনপির নেতৃত্বে হযরতকে দেখতে চাই তৃণমুল Logo মোহনপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা Logo ফরিদপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত Logo রূপগঞ্জে দুই সাংবাদিকের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ Logo আজ খোকসা হানাদার মুক্ত দিবসঃ পালিত হবে যথাযজ্ঞ মর্যাদা Logo দৌলতপুরে জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত Logo মধুখালীতে নবাগত ইউএনও’র যোগদান Logo বহুলীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বন্যা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে করনীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo শালিখায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬ দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক বাংলা প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশী তরুণীর অন্যন্য আবিষ্কার

২৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তরুণীর উদ্ভাবন, বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সাদিয়া খানম নামের ওই বিজ্ঞানী মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একটি অ্যান্টিসেপটিক স্প্রে – ‘ভল্টিক’ তৈরি করেছেন।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ ইউকে জানায়, ‘ভল্টিক’ যে কোনও ধরণের রোগজীবাণু (ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি) ধ্বংস করতে পারে। মাত্র একবার এই স্প্রে করলে অন্তত পনেরো দিনের জন্য করোনাভাইরাস মুক্ত যায়। সাদিয়ার পরিবার ১৯৬০ সালে সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এদিকে  যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলি বলছে যে এই স্প্রে করোনভাইরাসকে ধ্বংস করতে 100% কার্যকর।
এই স্প্রে ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিষ্কারের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। একটি রেস্তোরায় কাজ করার সময় সাদিয়া এই স্প্রে আবিষ্কার করেন। এই স্প্রের সঠিক ভাবে তৈরি করতে প্রায় ১৪ মাস সময় লেগেছে সাদিয়ার। এই কাজে তাকে সহায়তা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রবীণ বিজ্ঞানী ড কলিন হেইগান।  সাদিয়া ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কেয়ার হোমে পরীক্ষামূলকভাবে এই স্প্রেটি ব্যবহার করে সফল হয়েছে। এই স্প্রেটি নাসার ল্যাবগুলিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সাদিয়া ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩ টি দেশ থেকে তার ‘ভোল্টিক’ স্প্রে অর্ডার পেয়েছেন।
সাদিয়ার বাবা কবির আহমেদ এখন একজন গর্বিত মানুষ। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের এই আবিষ্কারে যদি বিশ্বজুড়ে মানুষ উপকৃত হয় তবে তার চেয়ে আনন্দজনক আর কিছু নেই।”
সাদিয়ার পরিবার যুক্তরাজ্যের চেস্টার শহরে থাকেন। তার বাবা কবির আহমেদ রেস্তোরার মালিক। তার দাদা আজমত আলী ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
সাদিয়া খানম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। ১৪ বছর বয়সে আমার দাদা আলঝেইমারে মারা গেলে রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাপারে আমার আগ্রহ চরমে পৌঁছায়।’
সাদিয়া যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন।  সাদিয়া  চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে আলঝেইমার বিষয়ে তিনি পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

তানোর বিএনপির নেতৃত্বে হযরতকে দেখতে চাই তৃণমুল

error: Content is protected !!

করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশী তরুণীর অন্যন্য আবিষ্কার

আপডেট টাইম : ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক রিপোর্টঃ :

২৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তরুণীর উদ্ভাবন, বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সাদিয়া খানম নামের ওই বিজ্ঞানী মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে একটি অ্যান্টিসেপটিক স্প্রে – ‘ভল্টিক’ তৈরি করেছেন।

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ম্যানচেস্টার ইভিনিং নিউজ ইউকে জানায়, ‘ভল্টিক’ যে কোনও ধরণের রোগজীবাণু (ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি) ধ্বংস করতে পারে। মাত্র একবার এই স্প্রে করলে অন্তত পনেরো দিনের জন্য করোনাভাইরাস মুক্ত যায়। সাদিয়ার পরিবার ১৯৬০ সালে সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এদিকে  যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলি বলছে যে এই স্প্রে করোনভাইরাসকে ধ্বংস করতে 100% কার্যকর।
এই স্প্রে ব্যবহার করে হাসপাতাল পরিষ্কারের ব্যয় প্রায় ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। একটি রেস্তোরায় কাজ করার সময় সাদিয়া এই স্প্রে আবিষ্কার করেন। এই স্প্রের সঠিক ভাবে তৈরি করতে প্রায় ১৪ মাস সময় লেগেছে সাদিয়ার। এই কাজে তাকে সহায়তা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রবীণ বিজ্ঞানী ড কলিন হেইগান।  সাদিয়া ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার পেয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল এবং কেয়ার হোমে পরীক্ষামূলকভাবে এই স্প্রেটি ব্যবহার করে সফল হয়েছে। এই স্প্রেটি নাসার ল্যাবগুলিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সাদিয়া ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৩ টি দেশ থেকে তার ‘ভোল্টিক’ স্প্রে অর্ডার পেয়েছেন।
সাদিয়ার বাবা কবির আহমেদ এখন একজন গর্বিত মানুষ। তিনি বলেন, “আমার মেয়ের এই আবিষ্কারে যদি বিশ্বজুড়ে মানুষ উপকৃত হয় তবে তার চেয়ে আনন্দজনক আর কিছু নেই।”
সাদিয়ার পরিবার যুক্তরাজ্যের চেস্টার শহরে থাকেন। তার বাবা কবির আহমেদ রেস্তোরার মালিক। তার দাদা আজমত আলী ১৯৬৪ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান।
সাদিয়া খানম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি তার প্রচণ্ড ঝোঁক ছিল। ১৪ বছর বয়সে আমার দাদা আলঝেইমারে মারা গেলে রোগ প্রতিরোধ করার ব্যাপারে আমার আগ্রহ চরমে পৌঁছায়।’
সাদিয়া যুক্তরাজ্যে মাদ্রাসায় পড়াশোনা শুরু করেন।  সাদিয়া  চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে আলঝেইমার বিষয়ে তিনি পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রিন্ট