রাজশাহীর বাঘায় স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতোভয় শহীদ বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে। শহীদদের স্মরণে পুস্পস্তবক অর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, এবং দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও হাসপাতাল, শিশুসদন, বৃদ্ধাশ্রমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। বিজয় মেলা, পার্ক ও জাদুঘর শিশুদের জন্য বিনামূল্যে উন্মুক্ত রাখা হয়।
শহীদ বীর সেনানীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করার পাশাপাশি, বিজয়ের এই ঐতিহাসিক দিনটি ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এই দিনটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫৩ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি-জামায়াত এই বছর দেড় দশক পর বিজয়ের উল্লাসে অংশ নেয়। পুস্পস্তবক অর্পণ, আনন্দ র্যালি এবং বিজয় র্যালিতে হাজারো নেতা কর্মী অংশ নেন। জাতীয় পতাকা বেঁধে তারা বিজয় র্যালিতে অংশ নেয়।
সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসন জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে, ১০টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। পরে ১১টায় বিজয় মেলা (চারু কারু ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য) উদ্বোধন করা হয়, যেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সেসময় বিশেষ প্রার্থনা এবং দোয়া মাহফিলও অনুষ্ঠিত হয়। শাহদৌলা সরকারি কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান খান মানিক বলেন, “এবারের বিজয় দিবস বিশেষভাবে স্মরণীয় ছিল, কারণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।”
আরও পড়ুনঃ মুকসুদপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি
এদিকে, উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “এই বছর বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে একটি স্বৈরাচারমুক্ত দেশে, যা জনগণের বিজয়ের ফল।”
প্রিন্ট