ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময় Logo কুষ্টিয়ায় হত্যাসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Logo ডিভোর্সী নারীকে বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্বঃ যশোরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত Logo পাংশায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে অবৈধ অস্ত্র-গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাবুল সরদার গ্রেফতার Logo শালিখায় বি.এন.পি’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  Logo মহম্মদপুরে শিক্ষক প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo বাগাতিপাড়ায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা Logo UK parliamentarians engage in dialogue for a truth and reconciliation for Bangladesh’s future Logo শান্তিতে নোবেলজয়ীর ব্যর্থতায় দেশে সহিংসতা বাড়ছেঃ -মোমিন মেহেদী Logo এসএসসি ফলাফলে খুশি নয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গার ভালাইপুরের ভ্যানচালক আলমগীর হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন, ৩ জন আটক

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার উপজেলার ভালাইপুরের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলম হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল আসামি জিনারুল হককে। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার শিবপুর গ্রামের সবদ আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন জানান, আলমগীর হোসেন আলম (৪১) পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। ২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে তিনি ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান নিয়ে ভাড়া মারতে বের হয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে না আসলে তার পরিবার মোবাইলে ফোন করে, কিন্তু ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ৪ অক্টোবর সকাল ৮টায় আলমগীরের মরদেহ আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠ সংলগ্ন ভাইমারা খালে কচুরিপানার নিচে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

 

এ ঘটনায় আলমগীরের মা জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন টিম গঠন করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে।

 

২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বড়দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আলমডাঙ্গার আইন্দিপুর গ্রামের ইমরান (২৪) ও মাসুম (২০) কে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত আরও একজন, আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামের জিনারুল হক। তাকে ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা আর্থিক সংকটে ছিল এবং ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ২ অক্টোবর তারা ভালাইপুর থেকে ৩ হাত নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের ভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে, রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাসুম ভ্যানটি থামানোর জন্য তার স্যান্ডেল ফেলে দেয়। আলমগীর থামালে জিনারুল তাকে রাস্তার পাশে নামিয়ে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। একপর্যায়ে আলমগীর গর্তে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন, তখন তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মরদেহ রাস্তা পার করে খালের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ভ্যানটি বিক্রি করে তারা ৪৮ হাজার টাকা পায় এবং তা সমান ভাগে ভাগ করে নেয়।

 

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

 

পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আলমগীরের পাখিভ্যান ও বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ভ্যানটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় শ্রমিক অধিকার, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক মতবিনিময়

error: Content is protected !!

চুয়াডাঙ্গায় আলমডাঙ্গার ভালাইপুরের ভ্যানচালক আলমগীর হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন, ৩ জন আটক

আপডেট টাইম : ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
হুমায়ন আহমেদ, আলমডাঙ্গা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি :

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার উপজেলার ভালাইপুরের ভ্যানচালক আলমগীর হোসেন আলম হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল আসামি জিনারুল হককে। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার শিবপুর গ্রামের সবদ আলীর ছেলে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন জানান, আলমগীর হোসেন আলম (৪১) পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। ২ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে তিনি ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান নিয়ে ভাড়া মারতে বের হয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফিরে না আসলে তার পরিবার মোবাইলে ফোন করে, কিন্তু ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর ৪ অক্টোবর সকাল ৮টায় আলমগীরের মরদেহ আইন্দিপুর গ্রামের ছাতিয়ানতলা মাঠ সংলগ্ন ভাইমারা খালে কচুরিপানার নিচে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

 

এ ঘটনায় আলমগীরের মা জহুরা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ বিভিন্ন টিম গঠন করে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে।

 

২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বড়দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত আলমডাঙ্গার আইন্দিপুর গ্রামের ইমরান (২৪) ও মাসুম (২০) কে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত আরও একজন, আলমডাঙ্গার শিবপুর গ্রামের জিনারুল হক। তাকে ১১ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

 

জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা আর্থিক সংকটে ছিল এবং ভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। ২ অক্টোবর তারা ভালাইপুর থেকে ৩ হাত নাইলনের রশি কিনে আলমগীরের ভ্যান ভাড়া নিয়ে বড়গাংনীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে, রাত ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, মাসুম ভ্যানটি থামানোর জন্য তার স্যান্ডেল ফেলে দেয়। আলমগীর থামালে জিনারুল তাকে রাস্তার পাশে নামিয়ে ধস্তাধস্তি করতে থাকে। একপর্যায়ে আলমগীর গর্তে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়েন, তখন তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে মরদেহ রাস্তা পার করে খালের কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখে। ভ্যানটি বিক্রি করে তারা ৪৮ হাজার টাকা পায় এবং তা সমান ভাগে ভাগ করে নেয়।

 

আরও পড়ুনঃ রাজাপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

 

পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আলমগীরের পাখিভ্যান ও বিক্রির টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ভ্যানটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


প্রিন্ট