অহিদ সাইফুল, রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে অবৈধ অস্ত্র (পাইপ গান) দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়ে, পুলিশের সদস্যের সহায়তায় অজ্ঞাত মিথ্যা মামলা দিয়ে এক ব্যক্তিকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সোর্স মেহেদি হাসান মুনাফ জমাদ্দারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এবং দুষ্কৃতিকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য ভুক্তভোগী গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞা ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের মৃত মাস্টার এ কে এম আব্দুর রব মিঞার ছেলে। তিনি ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের অধীনে মাঠ মৌসুমে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত, এবং দুইটি সমাজসেবামূলক সংগঠনের সাধারণ পরিষদের সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞার মাতামহ (নানা) মৃত আহম্মদ আলী জমাদ্দারের জমি নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। অভিযুক্ত মুনাফ জমাদ্দার গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞার বসতবাড়ীর সম্পত্তি বেশি রেকর্ড করায় তাদের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হয়। এরপর, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞাকে হত্যা করতে মুনাফ জমাদ্দারের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার ৮-১০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে নিয়ে আসেন, তবে গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞা বাড়িতে না থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
এরপর, ২০২২ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে রাজাপুর থানার এসআই আল হেল্লাল সিকদার ঘুষ নিয়ে গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞাকে হয়রানি করতে শুরু করেন। তিনি গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞার বাড়িতে গিয়ে তাকে মুনাফ জমাদ্দারের কাছে জমি ছেড়ে দিতে হুমকি দেন এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দিলে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হত্যার হুমকি দেন।
গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞা জানান, তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এসআই আল হেল্লাল সিকদার ও মুনাফ জমাদ্দার তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। অভিযোগের পর, এসআই আল হেল্লাল সিকদার এবং মুনাফ জমাদ্দার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, এসআই আল হেল্লাল সিকদার ও মুনাফ জমাদ্দারের পেছনে একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের সমর্থন রয়েছে, যাদের মাধ্যমে তারা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা তাকে বিভিন্নভাবে জিম্মি করে রেখেছে এবং তার জীবন বিপদে ফেলেছে।
গিয়াস মাহমুদ রাজা মিঞা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমি নিরীহ, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষ। এখন আমি আতঙ্কগ্রস্ত এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায়বিচার ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি চাচ্ছি।”
আরও পড়ুনঃ যথাযোগ্য মর্যাদায় ১১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক তানোর দিবস উদযাপন
এ বিষয়ে মেহেদি হাসান মুনাফ জমাদ্দারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রিন্ট