আলিফ হোসেন, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ঐতিহাসিক তানোর দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
এদিন, ১১ ডিসেম্বর বুধবার, দিবসের শুরুতে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার সংলগ্ন বধ্যভূমি শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ পরিবার ও শহীদদের সহযোদ্ধাদের উদ্যোগে শহীদ কমরেড এরাদ আলীর ছোট ভাই এরশাদ আলীর সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট হাসিবুল ইসলামের সঞ্চালনায় আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ কমরেড ওয়ারেজ উদ্দিনের ছোট ভাই লুৎফার রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন শহীদদের সহযোদ্ধা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও সাংবাদিক মাহমুদ জামাল কাদেরী।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—
শহীদদের সহযোদ্ধা পাঁচন্দর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দীন,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখার মাসুদ,
গণ-অধিকার রাজশাহী মহানগর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল,
পুলিশ কর্মকর্তা (অব.) লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী,
রাবির অধ্যাপক সারোয়ার জাহান সুজন,
শহীদদের সহযোদ্ধা আরিফুর রহমান বাচ্চু,
রাবির ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম,
রাবির ছাত্র সম্মনয়ক মোহাম্মাদ আলী তোহা,
গণসংহতি নেতা অ্যাডভোকেট মুরাদ মুর্শেদ,
বাসদের নেতা আলফাজ উদ্দীন প্রমুখ।
উক্ত স্মরণ সভায় শহীদ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে শিশু হত্যাকারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা
প্রসঙ্গত, মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে কৃষক জনগণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছিলেন এবং দেশে খাদ্য সমস্যা সৃষ্টি হলে শহীদরা কৃষক জনতার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ সময়, ১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের রক্ষীবাহিনী ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করার পর গোল্লাপাড়া ফুটবল মাঠ সংলগ্ন গণখবর দেওয়া হয়। সেই থেকে সাম্যবাদী দল, ওয়ার্কার্স পার্টি এবং বিভিন্ন সংগঠন ১১ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক তানোর দিবস পালন করে আসছে।
প্রিন্ট